ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১

নতুন আইন কার্যকর: ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, বিয়ের আশ্বাসে ১০ বছরের জেল

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২ জুলাই ২০২৪

নতুন আইন কার্যকর: ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, বিয়ের আশ্বাসে ১০ বছরের জেল

আদালত। প্রতীকী ছবি। 

ব্রিটিশ আমলের আইন বাতিল করে সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভারতে কার্যকর হয়েছে নতুন তিনটি অপরাধমূলক আইন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই আইনগুলো বলবৎ করলো নরেন্দ্র মোদির সরকার। 

নতুন আইনে ১৮ বছরের কমবয়সী অর্থাৎ নাবালিকার ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড থেকে আজীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজার কথা বলা হয়েছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাবাসের সাজা হতে পারে। যৌন সহিংসতার অভিযোগের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নারীর বয়ান তারই বাড়িতে নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। নারী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই বয়ান দিতে পারবেন ভুক্তভোগী। বিয়ে বা অন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে।

বাধ্যতামূলক সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তদন্ত এবং শুনানির জন্য। এখন শুনানির ৪৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, অভিযোগের তিন দিনের মধ্যে এফআইআর দায়ের করতে হবে। ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিসিটিএনএস) মাধ্যমে এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর অধীনে এই প্রোগ্রাম কাজ করে।

সিসিটিএনএস আপগ্রেড করা হয়েছে, যাতে থানায় না গিয়ে অনলাইনে ই-এফআইআর দায়ের করা যাবে। পরে থানায় গিয়ে সই করে আসতে হবে। অপরাধ যে থানার এখতিয়ারে পড়ুক, যে কোনো থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করা যেতে পারে। দায় এড়াতে পারবে না কোনো থানা।

এর আগে ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা যেতো। তবে এখন ৬০ বা ৯০ দিনের জন্য রিমান্ড দেওয়া যেতে পারে। মামলার বিচার শুরুর আগে এত দীর্ঘ পুলিশ রিমান্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আইনজ্ঞদের অনেকেই।

চুরি, ডাকাতি, প্রতারণার মতো অপরাধের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যে বিধান ছিল, নতুন আইনেও তা রয়েছে। এর সঙ্গে সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক প্রতারণার মতো অপরাধগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এখন শুধু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরাই প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আগে এনজিও বা সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোও আসামিদের পক্ষে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতো।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

 

এম হাসান

×