
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড কাউন্টির মরেনো ভ্যালি শহরের ‘মার্চ এয়ার রিজার্ভ বেস’-এ অনুষ্ঠিত হলো এক শ্বাসরুদ্ধকর যুদ্ধবিমান মহড়া। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা যুদ্ধবিমানের বৈমানিক পেশাকে বেছে নিয়েছেন, তাদের সামান্যতম ভুল মানেই এই পৃথিবী থেকে ‘One Way Ticket’—অথবা নিজের অস্তিত্বকে ইতিহাসে নিশ্চিত করে যাওয়া।
১২ ও ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত মরেনো ভ্যালি শহর বলতে গেলে ‘মার্চ এয়ার রিজার্ভ বেস’-এর গগনবিদারী শব্দে ছিল প্রকম্পিত।
১৯১৭ সালের এপ্রিলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের পর ‘মার্চ এয়ার রিজার্ভ বেস’ স্থাপিত হয় এবং সে সময় এটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি বিমান প্রশিক্ষণ শিবিরের একটি ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর পরিচালিত প্রাচীনতম বিমানঘাঁটিগুলোর একটি এটি, যার শুরু হয়েছিল ‘আলেসান্দ্রো ফ্লাইং ট্রেনিং ফিল্ড’ নামে ১৯১৮ সালে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত নাগরিকদের জন্য ‘এয়ার শো ২০২৫’ ছিল এক বড় ধরণের আয়োজন।
মার্কিন বিমান বাহিনী রিজার্ভ কর্তৃক আয়োজিত এই দুইদিনব্যাপী মহড়ায় সামরিক ও বেসামরিক উভয় প্রকারের বিমান অংশগ্রহণ করে। আনুমানিক আড়াই লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী সরাসরি এই মহড়া উপভোগ করেন। উন্মুক্ত আকাশে মার্কিন বিমান বাহিনীর থান্ডারবার্ডস, প্যাট্রিয়ট জেট টিম, F-18 সুপার হর্নেট-এর মতো যুদ্ধবিমান এবং বেসামরিক স্টান্ট বিমানের প্রদর্শনী ছিল প্রধান আকর্ষণ।
বিমানবন্দরের পুরো এলাকা জুড়ে সারিবদ্ধভাবে সাজানো ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বিমান এবং আধুনিক যুদ্ধবিমান—যেগুলোর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে দর্শনার্থীরা ককপিটে বসে ছবি তোলার সুবর্ণ সুযোগ পান।
এই এয়ার শো-এর বিশেষ মুহূর্ত ছিল আকাশে চলমান শ্বাসরুদ্ধকর বিমান কসরত। এতে অংশ নেয় মার্কিন বিমান বাহিনীর বিখ্যাত বৈমানিকদের দ্বারা চালিত থান্ডারবার্ডস, প্যাট্রিয়ট জেট টিম, F-18 সুপার হর্নেট, ও অন্যান্য বেসামরিক স্টান্ট বিমান।
সারা বিশ্বে বিমান কসরতের জন্য ‘থান্ডারবার্ডস’ স্কোয়াড্রন বিশেষ খ্যাত। এই মহড়া দেখতে রানওয়ের দুই পাশে ক্যামেরা হাতে ভিড় করেন হাজারো দর্শক। মহড়া শেষে বৈমানিকরা মাটিতে নেমে দর্শকদের সঙ্গে ছবি তোলা ও অটোগ্রাফ দেওয়ার অংশও নেন।
শহীদ