ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

মিশিগানে প্রবাসীদের ঢল! দূতাবাসের সামনে উপচে পড়া ভিড়,প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে এই আয়োজন

রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৯:১২, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

মিশিগানে প্রবাসীদের ঢল! দূতাবাসের সামনে উপচে পড়া ভিড়,প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে এই আয়োজন

ছবি: জনকণ্ঠ

অত্যন্ত চমৎকার, আন্তরিক, মনোরমসৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে   শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে মিশিগান রাজ্যের ওয়ারেন সিটির আল-ইহসান ইসলামিক সেন্টারে দু’দিনব্যাপী মোবাইল কনস্যুলেট সার্ভিসের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে।

এতে ই-পাসপোর্ট, এনডিআর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করছেন ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে এই আয়োজন করেছে। এতে ভোর থেকেই শত শত প্রবাসী নারী-পুরুষ পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে ভিড় করতে থাকেন। একসময় তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় এবং সেখানকার পরিবেশ হয়ে উঠে উৎসবমুখর। কোনও ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এখন পর্যন্ত আয়োজকরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এই মহতী সেবা প্রদান করছেন।

জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই সেবা দেওয়ার কথা ছিল। তবে আয়োজক কর্তৃপক্ষের মতে, আজকের উপচে পড়া ভিড় ও প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সেবার সময় রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী সময়সীমা আবারও নির্ধারণ করা হবে।

প্রথম দিনে প্রবাসীরা যেমন সারিবদ্ধভাবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সেবা নিতে সহযোগিতা করেছেন, তেমনি দূতাবাস কর্মকর্তারাও নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে উপস্থিত সবাই বেশ সন্তুষ্ট

আগামীকাল রবিবারও একই স্থানে এই সেবা চলবে, তবে সকাল ১০টার পরিবর্তে সকাল ৮টায় শুরু হবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের পর মিশিগানই দ্বিতীয় রাজ্য, যেখানে প্রায় লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন। কিন্তু পাসপোর্ট ও কনস্যুলেট সংক্রান্ত জটিলতায় পড়লে তাদের যেতে হয় ওয়াশিংটন কিংবা নিউইয়র্কে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় তো হয়ই, পাশাপাশি কাজ থেকেও ছুটি নিতে হয়।

বছরের পর বছর ধরে মিশিগানে একটি স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে কমিউনিটি এবং গণমাধ্যম। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু আশ্বাসই মিলেছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা মনে করেন, তারা একরকম উপেক্ষিত এবং তাদের আশা হিমঘরে বন্দি হয়ে আছে।

তাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথভাবে মিশিগানে একটি স্থায়ী কনস্যুলেট স্থাপনে উদ্যোগ নেবেন। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প মিশিগান থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাই প্রবাসীদের আশা, ট্রাম্প যেন একটি স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস উপহার দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

বাংলাদেশ সরকারেরও উচিত, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দাবি পূরণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে অবিলম্বে সংলাপে বসা।

শহীদ

আরো পড়ুন  

×