ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প

যুদ্ধের জন্য ইউক্রেন দায়ী

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুদ্ধের জন্য ইউক্রেন দায়ী

ডোনাল্ড ট্রাম্

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় কিয়েভকে আমন্ত্রণ না জানানোর ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যে মন্তব্য করেছেন তার সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ শুরু না করে ইউক্রেন একটি চুক্তি করতে পারত। যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি অবাক করার মতো বলে মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর জবাবে বুধবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ। তিন বছর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
এদিকে সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশ কোনো চুক্তির অধীনে ইউক্রেনে ন্যাটো দেশগুলোর শান্তিরক্ষী বাহিনী গ্রহণ করবে না। তার এই মন্তব্যের পর এলো ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া। মঙ্গলবার রিয়াদে বৈঠকের পর রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রতিনিধি দল নিয়োগে সম্মত হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিবিসি ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় কিয়েভকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ইউক্রেনীয়রা আহত বোধ করতে পারেন। তাদের প্রতি ট্রাম্পের বার্তা কী, এমন জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি শুনেছি যে তারা আলোচনায় জায়গা না পাওয়ায় বিরক্ত। তারা তিন বছর ধরে এবং তার আগেও অনেক সময় ধরে জায়গা পেয়েছে। এটি খুব সহজেই নিষ্পত্তি করা যেত। ইউক্রেনকে এটা শুরু করাই ঠিক হয়নি। তারা একটা চুক্তি করতে পারতে। এদিকে সৌদি আরবে মার্কিন ও রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, তিনি যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সৌদি আরব সফর স্থগিত করেছেন। অন্যদিকে কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার  সৌদি আরবে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আয়োজিত বৈঠক শেষে এ কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য আমাদের কার্যকর কূটনৈতিক মিশন দরকার। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, মিশন পুনর্গঠনের বিস্তারিত আগেই জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে না। ইউক্রেনে রুশ অভিযান ও মস্কোর বিভিন্ন কার্যকলাপের সাজা হিসেবে আগের মার্কিন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিত। তারই একটা পদক্ষেপ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে রুশ কূটনৈতিক মিশনের ওপর একগাদা বিধিনিষেধ আরোপ করা। তবে রুবিওর সাম্প্রতিক বক্তব্যে সেই বরফ গলতে শুরু করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে আলোচনা শুরুর আদেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

×