![ক্ষমতায় বসেই গোপন তথ্যে বাইডেনের অ্যাক্সেস বন্ধ করছে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই গোপন তথ্যে বাইডেনের অ্যাক্সেস বন্ধ করছে ট্রাম্প](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-20-2502080340.jpg)
সংগৃহীত
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল এবং তার গোপন সরকারি তথ্য অ্যাক্সেস বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, বাইডেন আর কোনো গোপন সরকারি তথ্য বা দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিং পাবেন না।
ট্রাম্প তার ঘোষণায় বলেন, “জো বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হচ্ছে এবং তার দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিং বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। দায়িত্ব পালনকালে তারা রাষ্ট্রীয় গোপন নথির অ্যাক্সেস পেলেও, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই সুযোগ সীমিত হয়ে যায়। ট্রাম্পের এই ঘোষণা প্রশাসনিকভাবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন। তবে এটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে, যা ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে।
২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন ক্যাপিটল হিলে হামলার পর ট্রাম্পের “উদ্ভট আচরণের” দোহাই দিয়ে তার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যপ্রাপ্তি সীমিত করে। ট্রাম্প এবার বাইডেনের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়ে বলছেন, “যে নজির বাইডেন তৈরি করেছিলেন, সেটিরই প্রতিফলন ঘটানো হলো।”
ট্রাম্প বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট হার-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে দাবি করেন, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি দুর্বল এবং তিনি স্পর্শকাতর গোপন তথ্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ট্রাম্প লেখেন, “হার রিপোর্ট প্রমাণ করেছে যে বাইডেনের স্মৃতিশক্তি দুর্বল, এমনকি তার সর্বোচ্চ সময়েও তিনি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অক্ষম ছিলেন।”
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্প তার রাজনৈতিক অবস্থান আরও স্পষ্ট করলেন এবং নিজের শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি আপসহীন থাকবেন। বিবৃতির শেষে তিনি তার পরিচিত স্লোগান “মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন” ব্যবহার করেন, যা তার নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
সূত্র:https://tinyurl.com/5n6vra7z
আফরোজা