ট্রাম্প ও পুতিন
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলে আসছেন। তবে তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন মন্তব্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না দ্বন্দ কোন পথে এগুবেন সেটা অস্পষ্ট করে
তুলেছে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোন লক্ষণ নেই। ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে এ যুদ্ধ। রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গা দখল করে ফেলেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে রাশিয়ার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেই তুলনায় সাফল্য নেই। এটি রুশদের ব্যর্থতা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই এই যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে। তার দাবি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। দায়িত্ব নিয়ে তিনি দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন দ্রুত একটি নিষ্পত্তি যদি না হয় তাহলে কর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া তার কাছে আর কোন বিকল্প থাকছে না।
ট্রাম্পকে পুতিনের কিছুটা ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়। দুজনকে এর আগে একসঙ্গে দেখে খুবই আন্তরিক মনে হয়েছে। ফলে ট্রাম্প অর্থনৈতিক কর আরোপ বা নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটার আগে হয়তো পুতিনের সাথে আন্তরিক সমযোতা চেষ্টা করবেন। সুইজারল্যান্ডের ডেভোজে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন যুদ্ধেরমানবিক দিকের কথাও। ট্রাম্প বলেন, লক্ষ লক্ষ তরুণের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে, এটি হচ্ছে ভয়াবহ।
হোয়াইট হাউজে তার দ্বিতীয় মেয়াদের তৃতীয় দিনে ট্রাম্প বলেন তিনি সৌদি আরব ওপেককে বিশ্বে তাদের জ্বালানি তেলের মূল্য কমাতে বলবেন। যাতে করে রাশিয়ার তেল থেকে পাওয়া উপার্জন কমানো যায়। মূল্য কমে গেলে সাথে সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ হবে বলে মনে করেন ট্রাম্প। হুমকির মুখে রাশিয়া অবশ্য বিচলিত নয় সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা প্রায়শই রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান খাতগুলি এবং পুতিনের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বন্ধুদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারপরও রাশিয়ার অর্থনীতি প্রবৃত্তির হার ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপকে ছাড়িয়ে যায়। ব্রিক্স অর্থনৈতিক জোট গঠন করে পুতিন এখন আরো আত্মবিশ্বাসী। তিনি বরাবরই বলে আসছেন আর বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=-Q5FyObfg4U
এম হাসান