সংগৃহীত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরই তিনি এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দুর্বল করবে এবং ভবিষ্যৎ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন করে তুলবে।
নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প ডব্লিউএইচও’র “কোভিড-১৯ মহামারির ব্যর্থ ব্যবস্থাপনা” এবং “প্রয়োজনীয় সংস্কারে ব্যর্থতার” কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে “অন্যায্যভাবে অতিরিক্ত অর্থপ্রদান” দাবি করে, যেখানে চীন তুলনামূলকভাবে কম অর্থ প্রদান করে।
এ পদক্ষেপ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য অপ্রত্যাশিত নয়। এর আগে, ২০২০ সালেই তিনি ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেছিলেন এবং করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সংস্থাটির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। সেসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করারও হুমকি দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের জুলাই মাসে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করলেন।
এছাড়াও, দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার আদেশে সই করেছেন এবং বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আরও কিছু উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি এবং পানামা খাল ফেরত নেওয়ার মতো পদক্ষেপ রয়েছে।
ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্ত তার প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সায়মা ইসলাম