ছবি: মার্কেট ওয়াচ
ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর শিক্ষাঋণগ্রহীতারা নতুন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। আমেরিকায় বর্তমানে শিক্ষাঋণের পরিমাণ ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ৪২ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার জীবনে প্রভাব ফেলছে।
বাইডেন প্রশাসন শিক্ষাঋণ মওকুফে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। তাদের উদ্যোগে ৫০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর ঋণ মওকুফের জন্য অনুমোদন পাওয়া যায়। তবে অনেক ঋণগ্রহীতা এখনও প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তার মিত্ররা শিক্ষাঋণ ব্যবস্থা বেসরকারিকরণ এবং মওকুফ প্রক্রিয়া সীমিত করার কথা বলছেন। এতে ঋণগ্রহীতারা নতুন করে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হতে পারেন।
প্রতারিত শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফ প্রক্রিয়াও ঝুঁকিতে রয়েছে। হিদার ইয়ার্ন্যাক, যিনি একটি প্রতারক কলেজ থেকে ডিগ্রি নিয়েছিলেন, এখনও তার ঋণ মওকুফের অপেক্ষায় আছেন। বাইডেন প্রশাসন তার ঋণ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
পুনঃপরিশোধ পরিকল্পনাগুলোতেও পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের মিত্ররা ইনকাম-ড্রিভেন রিপেমেন্ট (IDR) পরিকল্পনাগুলো সীমিত করার কথা বলেছেন। আদালতের সিদ্ধান্ত এই প্রক্রিয়াগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
বিশেষজ্ঞরা ঋণগ্রহীতাদের তাদের ডকুমেন্টেশন সংরক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, ঋণ মওকুফ প্রক্রিয়া যে কোনো মুহূর্তে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বাইডেন প্রশাসনের সংস্কার সত্ত্বেও শিক্ষাঋণের সমস্যা এখনও গভীর। ঋণগ্রহীতারা একটি সুস্পষ্ট নীতিমালার প্রত্যাশায় রয়েছেন।
সূত্র: মার্কেট ওয়াচ
এম.কে.