গত পাঁচ দিনের আগুনে ভারী হয়ে উঠেছে লস এঞ্জেলসের বাতাস। এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, ৪০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা।আগুনের গ্রাসে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে, অন্তত ১২ হাজার বাড়িঘর। উদ্বাস্তু হয়েছেন এক লাখেও বেশি মানুষ।
আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছেে,আরো ভারী হতে পারে বাতাস।এতে করে দাবানলের আগুন আরো নতুন এলাকা গ্রাস করতে পারে ।
সর্বশেষ জানানো হয়,কয়েকটি এলাকায় দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো অন্তত ৬টি জায়গায় আগুন জ্বলছে।
লস এঞ্জেলস এবং আশেপাশের অঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতি সামাল দিতে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে দমকল কর্মী ও আগুন নিয়ন্ত্রণের নানা সরঞ্জাম আনা হচ্ছে।
বাতাসে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ সহ সকল প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।লস এঞ্জেলস ও আশপাশের এলাকায় অগ্নিকান্ডের সতর্কতা জারি রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিন এই এলাকাগুলোতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকবে,চলমান থাকবে শুষ্ক ও উষ্ণ হাওয়া।ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বাতাসের বেগ।এমন আবহাওয়ায় নতুন দাবানলের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে বাসিন্দাদের।
শক্তিশালী স্যান্টা আনা বাতাস গাছপালাগুলো শুকিয়ে ফেলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছে। স্যান্টা আনা বাতাস হলো শক্তিশালী, শীতল, শুষ্ক, ঝড়ো বাতাস যাকে কখনও কখনও ডেভিল উইন্ডসও বলা হয়ে থাকে। এই উচ্চচাপ বায়ু মূলত নেভানা,ইউটা,আইডাহ ও দক্ষিণপূর্ব ওরিগণের উষর মরুভূমি অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে অগ্রসর হয়। দাবানলের মধ্য তীব্র এই বাতাস আগুনকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও দাবানলে লস এঞ্জেলসে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় জনবল ও সরঞ্জাম সংকটকে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। বলা হচ্ছে,স্থানীয় সংস্থাগুলো তাদের সীমিত সরঞ্জাম দিয়ে বিশাল ও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া দাবানল ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।
আফরোজা