ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

শপথ অনুষ্ঠানকে বিশ্বমঞ্চ বানাতে চান

প্রথা ভাঙছেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

প্রথা ভাঙছেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শপথ অনুষ্ঠানকে বিশ্বমঞ্চ হিসেবে দেখতে চান নবনির্বাচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথাগতভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে কোনো বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তবে এবার ট্রাম্প এই প্রথা ভেঙেছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের নেতাকে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। খবর সিএনএন অনলাইনের। চীন সরকার জানিয়েছে, তাদের প্রেসিডেন্টের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আরও থাকছেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মাইলি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ আরও অনেক বিশ্বনেতা। ভারত থেকে যাচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডিসেম্বরে ফ্রান্সে পুনর্নির্মিত নটরডেম গির্জার পুনরায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে ৮০টি দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট তার শপথ অনুষ্ঠানটি তেমনই করতে চান। তিনি ওই অনুষ্ঠানকে বিশ্বমঞ্চ বানাতে চান। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ পদত্যাগ করেছেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চক্রান্ত ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি অপব্যবহারের অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবর্তনের আগেই শুক্রবার পদত্যাগ করলেন তিনি। ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ আইলেন ক্যাননের কাছে শনিবার প্রেরিত আদালতের নথিতে দেখা গেছে, শুক্রবার বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন স্মিথ। এ ছাড়া তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আদালতের নথির একটি পাদটীকাতে স্মিথের পদত্যাগের বিষয়ে জানা যায়। সেখানে বলা হয়েছে, নিজের কাজ সম্পন্ন করে ৭ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে ১০ জানুয়ারি বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছেন তিনি। আগে যুদ্ধাপরাধের মামলা লড়তেন স্মিথ। ক্ষমতা ছাড়ার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি ফৌজদারি মামলার দুইটি ছিল তার করা। তবে ফ্লোরিডা আদালতে ট্রাম্পের নিযুক্ত বিচারক খারিজ করে দিলে একটি মামলা স্থগিত হয়ে যায়। আর আরেকটি মামলা খারিজ করে দেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের নিযুক্ত তিন বিচারপতি। দুইটি মামলার কোনোটির শুনানি হয়নি। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগে মামলা করা যায় না বলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুইটি মামলাই প্রত্যাহার করে নেন স্মিথ। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলাগুলো একে একে খারিজ হয়ে যাচ্ছে। স্মিথের পদত্যাগে সে বিষয়ে আরেকটি মাইলফলক যুক্ত হলো। ফলে কোনো আইনি ঝামেলা ছাড়াই অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। হোয়াইট হাউসে আরও শক্তিশালীরূপে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন তিনি। বিচার বিভাগ থেকে ট্রাম্পের পদত্যাগ অনুমিতই ছিল। তাকে একাধিকবার ‘বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি’ বলে কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নিলে স্মিথকে তৎক্ষণাৎ চাকরিচ্যুত করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এতদিন যারাই তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, সবাইকে একহাত দেখে নেবেন বলে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। ২০২৩ সালে ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সাবেক বা ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এই পরিস্থিতিতে পড়েন

×