নিকোলাস মাদুরো তৃতীয়বারের মতো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন, এবং তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। প্রায় ১২ বছর ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাদুরো, তার শাসনামলে গভীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। শুক্রবার, রাজধানী কারাকাসের জাতীয় পরিষদে তিনি তার তৃতীয় শপথ নেন, যেখানে তিনি ষোড়শ শতাব্দীর আদিবাসী নেতা গুয়াইকাইপুরো ও ভেনেজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজসহ অন্যান্য ব্যক্তির নামে শপথ নেন।
শপথ নেওয়ার পর মাদুরো তার সরকারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমার নতুন মেয়াদ শান্তি, সমৃদ্ধি, সমতা এবং নতুন গণতন্ত্রের সময়কাল হবে।” এ সময় তিনি সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করার প্রতিশ্রুতি দেন, এবং জানান যে, “ভেনেজুয়েলা শান্তিপূর্ণভাবে তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণ সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার পূর্ণ অনুশীলন করতে সক্ষম।”
শপথ গ্রহণের সময় অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ কানেল, নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগা, এবং রাশিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার বিচেস্ল্যাভ ভলোদিন। পাশাপাশি, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুয়িস আরসে মাদুরোকে অভিনন্দন জানান।
তবে, মাদুরোর শপথের দিনেই যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে পুরস্কারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি, ভেনেজুয়েলার অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্যও পুরস্কার ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। ২০২০ সালে মাদুরো ও তার সরকারের বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তবে মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আফরোজা
