ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

বিদেশ বিভাগের সব খবর

ইসরাইলে প্রবেশ করবে তুরস্কের সেনাবাহিনী?

ইসরাইলে প্রবেশ করবে তুরস্কের সেনাবাহিনী?

তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সম্প্রতি তুরস্কের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাহসী মন্তব্য করে জানিয়েছেন, তুর্কি সেনাবাহিনী চাইলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তেলআবিবে প্রবেশ করতে সক্ষম। এই বক্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়। তুরস্কের গবেষণা সংস্থা ‘সোনার রিসার্চ’-এর সভাপতি হাকান বাইরাক্সি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেন, “এটি কোনো হুমকি নয়, বরং এটি তুরস্কের জাতীয় সামরিক সক্ষমতার একটি বাস্তবচিত্র।” তার মতে, তুরস্ক এখন এমন এক সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে, যা চাইলে পুরো অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। ৭ এপ্রিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বৈঠকের পরপরই বাইরাক্সির এই মন্তব্য আসে। বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল সিরিয়ায় তুরস্কের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ চায় না। অন্যদিকে, ট্রাম্প ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইসরাইলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তুরস্ক সিরিয়ায় একটি নতুন ‘অটোমান সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলতে চায়। তিনি সতর্ক করে বলেন, “তারা যদি লাল সীমানা অতিক্রম করে, তাহলে ইসরাইলও চুপ করে থাকবে না।” তুরস্কের পক্ষ থেকে পাল্টা জবাবে বলা হয়েছে, ইসরাইল গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় বারবার আক্রমণ চালিয়ে তাদের মৌলবাদী মনোভাব এবং আগ্রাসী চরিত্র প্রকাশ করেছে। তুর্কি কর্মকর্তারা আরও বলেন, ইসরাইল এখন গোটা অঞ্চলের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ার একটি সামরিক বিমানবন্দরে ইসরাইলি হামলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ইসরাইল দাবি করেছে, এই হামলার মাধ্যমে তারা তুরস্ককে একটি বার্তা দিতে চেয়েছে। হামলায় একটি বিমান ঘাঁটি এবং দামেস্কের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, তুরস্ক সম্প্রতি সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছে। তারা সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের পরিকল্পনাও করছে। ইসরাইল এই পদক্ষেপকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। তাদের আশঙ্কা, যদি তুরস্ক সিরিয়ায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসায়, তবে ইসরাইলের আকাশসীমায় প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এদিকে, ইসরাইলি মিডিয়ায় ‘নাগেল কমিশনের’ একটি প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এতে প্রতিরক্ষা বাজেট এবং সেনা গঠনের বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কোনও সরাসরি সুপারিশ নেই, তবুও অনেকেই এটিকে সম্ভাব্য সংঘাতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তুরস্ক, সিরিয়া এবং মিশর মিলিতভাবে ইসরাইলের বিরোধিতা করতে পারে—এমন আশঙ্কা কিছুটা হলেও উঁকি দিচ্ছে। তবে তারা এটাও বলছেন, এই দেশগুলোর কেউই সরাসরি ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন থেকেই যায়— তুরস্ক কি আসলেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তেলআবিবে প্রবেশ করতে পারবে, নাকি এটি কেবল কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল? উত্তরের জন্য নজর রাখতে হবে পরবর্তী রাজনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের দিকে। ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/airmVVr_-vo?si=EUGl-C9fl765leUv

বিশ্ব বাণিজ্যে টানটান উত্তেজনা, ট্রাম্পের শুল্কে কী প্রভাব পড়বে?

বিশ্ব বাণিজ্যে টানটান উত্তেজনা, ট্রাম্পের শুল্কে কী প্রভাব পড়বে?

আবারো আমদানিকৃত পণ্যের উপর বড় পরিসরে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সাতটি দেশকে টার্গেট করে শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি এই দেশগুলোকে সবচেয়ে খারাপ অপরাধী হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চীনা পণ্যের শুল্কের হার পৌঁছেছে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত। যদিও এরই মধ্যে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং মার্কিনদের চাকরির ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেবে।

নতুন ১৪ তেল-গ্যাস খনির সন্ধান পেল সৌদি

নতুন ১৪ তেল-গ্যাস খনির সন্ধান পেল সৌদি

দেশে ১৪টি নতুন তেল ও গ্যাসের খনির সন্ধান পেয়েছে সৌদি আরব। সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুলাজিজ বিন সালমান বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এ তথ্য। জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, নতুন এই খনিগুলোর অবস্থান দেশটি পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞলীয় বিস্তীর্ণ মরুভূমি রাব আল খালি এলাকায়। খবর গালফ নিউজের। খনিগুলোতে কী পরিমাণ তেল ও গ্যাস থাকতে পারে সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেননি আবদুলাজিজ বিন সালমান জানিয়েছেন, নতুন খনিগুলোর আবিষ্কারের ফলে সৌদি আরবের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সর্ববৃহৎ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারী দেশ। দেশটির খনিগুলোতে মজুত তেলের মোট পরিমাণ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি ব্যারেল (১ ব্যারেল=১৫৯), যা বিশ্বের মোট তেলের মজুতের ১৭ শতাংশ। প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে সৌদি আরব। সম্প্রতি এশীয় ক্রেতাদের জন্য প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলে ২ দশমিক ৩০ ডলার মূল্যছাড় দিয়েছে সৌদি।

সৌদি আরবে পড়ল হুতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

সৌদি আরবে পড়ল হুতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবে পড়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। তবে এটি মাঝপথে সৌদি আরবে পড়ে। তবে ঠিক কোথায় পড়েছে তা প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়নি। খবর টাইমস অব ইসরাইলের। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ইসরাইলে কোনো সাইরেন বাজানো হয়নি। কারণ ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি। সৌদি বা হুতি এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে হুতি জানায়, তারা ইসরাইলকে লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।  এদিকে লোহিত সাগরের তীরবর্তী ইয়েমেনের বন্দর শহর হোদেইদার আবাসিক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার পরিচালিত এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। ২০২৩ সালের অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরাইলি কিংবা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। কয়েক মাস এ অবস্থা চলার পর হুতিদের সতর্কবার্তা দিতে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা শুরু করে হুতিরা।