
ছবিঃ সংগৃহীত
গরমকালে শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও সুস্থতা বজায় রাখতে লাউ একটি অনন্য প্রাকৃতিক উপায়। এই সহজলভ্য সবজিটি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। চলুন জেনে নিই লাউ খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা—
১. শরীর ঠান্ডা রাখে:
লাউয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ জল শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে, যা গ্রীষ্মকালে বিশেষভাবে উপকারী।
২. হজমে সহায়ক:
লাউয়ের ফাইবার ও জলীয় উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে সহজে হজমে সহায়তা করে এবং পেটকে হালকা রাখে।
৩. ওজন কমাতে সহায়ক:
ক্যালোরি কম কিন্তু পরিমাণে বেশি হওয়ায় এটি দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখে এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
৪. হৃদয় সুস্থ রাখে:
লাউয়ে থাকা পটাসিয়াম ও ফাইবার রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।
৫. শরীর হাইড্রেটেড রাখে:
৯০ শতাংশেরও বেশি জলীয় উপাদান থাকা লাউ গ্রীষ্মের তাপদাহে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
৬. মূত্রনালীর সমস্যা প্রশমিত করে:
লাউয়ের রস প্রাচীনকাল থেকেই মূত্রজনিত জ্বালা কমাতে এবং কিডনি ও মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৭. ঘুমের উন্নতি ঘটায়:
লাউ স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, যা বিশেষ করে গরমের রাতে আরামদায়ক ঘুমে সহায়তা করতে পারে।
৮. ত্বকের যত্নে সহায়ক:
লাউয়ের জলীয়তা ও প্রদাহনাশক গুণ ত্বকের ব্রণ কমাতে ও প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে।
৯. রান্নায় বহুমুখী ব্যবহার:
লাউ সেদ্ধ, পুর ভরা, রস করে বা স্যুপ ও স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়, তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সহজেই যুক্ত করা সম্ভব।
১০. ঘরোয়া ওষুধের বিকল্প:
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লাউ দীর্ঘদিন ধরে দেহের অতিরিক্ত তাপ কমানো ও শরীরের অভ্যন্তরীণ বিশুদ্ধিকরণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এই গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যকর ও সতেজ থাকার জন্য লাউকে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
রিফাত