
ছবিঃ সংগৃহীত
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিক (১-৩ মাস) এবং শেষ ত্রৈমাসিক (৭-৯ মাস) বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই সময় শরীর নানা ধরনের শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে থাকে এবং অতিরিক্ত চাপ বা অস্বস্তি হতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থার মাঝের ত্রৈমাসিক (৪-৬ মাস) সাধারণত নিরাপদ মনে করা হয়, কারণ এই সময়ে মা ও শিশুর শারীরিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকে।
তবে ভ্রমণের জন্য কিছু সতর্কতা মানতে হবে। গর্ভাবস্থায় ভ্রমণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু মেডিকেল শর্ত (যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিংবা প্রাক-প্রসব সমস্যা) থাকলে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হতে পারে।
এছাড়া দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ বা দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকা (যেমন প্লেনে দীর্ঘ সময় বসে থাকা) শারীরিক অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। সময়মতো বিশ্রাম নিন এবং বেশি সময় এক জায়গায় বসে থাকার থেকে এড়িয়ে চলুন।
এছাড়া গর্ভাবস্থায় অতি উত্তেজনাপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ (যেমন পাহাড়ী এলাকা, সাগর বা সমুদ্র ভ্রমণ) এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এই ধরনের পরিবেশের মধ্যে গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপদ হতে পারে।
বেশিরভাগ বিমান সংস্থা গর্ভবতী মহিলাদের ৩৫ সপ্তাহের পর বিমানে চড়তে নিষেধ করে। তবে, সাধারণত ১৮-২৪ সপ্তাহের মধ্যে নিরাপদ বিমানে যাত্রা করা যেতে পারে। বিমানে চড়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার নিয়মাবলী, বিমানে সিটবেল্ট পরার সময়, তা বেবি বাম্পের নিচে রাখা উচিত, যাতে চাপ কম পড়ে।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1WVha5aLE8/
আরশি