
প্রতীকী ছবি
গরম পড়তেই খাবার সহজেই নষ্ট হয়ে যায় এবং পানিও দূষিত হতে পারে, যার ফলে পেটের সমস্যা - ডায়ারিয়া, গ্যাস্ট্রিক বা পেট ব্যথা - ঘন ঘন দেখা দিতে পারে। মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা সহ্য করা গেলেও গুরুতর পেটের সমস্যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তবে ওষুধ খাওয়ার আগে ঘরে থাকা কিছু দেশি উপায় একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
১. আজওয়াইন ও বিট লবণ
আজওয়াইন আমাদের রান্নাঘরের চিরচেনা উপাদান, যা গ্যাস, বদহজম ও ফোলাভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। এতে থাকা এনজাইম হজমে সহায়তা করে। পেট ব্যথা থেকে দ্রুত আরামের জন্য ১ চা চামচ আজওয়াইনের সাথে এক চিমটি বিট লবণ মিশিয়ে গরম পানিতে খেয়ে নিন। এটি গ্যাস বের করে দিয়ে স্বস্তি দেবে।
২. দই ও ইসুবগুল
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকস পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে, যা ডায়ারিয়া বা পাতলা পায়খানার ক্ষেত্রে উপকারী। এক বাটি টাটকা দইয়ে ১ চামচ ইসুবগুল মিশিয়ে খাবারের পরে খেলে পেট শান্ত থাকে এবং পাতলা পায়খানা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. আদা ও পুদিনা
আদা একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, যা বমিভাব, পেট ব্যথা ও বদহজম কমাতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা চা বানিয়ে খেতে পারেন।
পুদিনাও পেট ঠান্ডা রাখতে কার্যকর। আদার রস, পুদিনার রস ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে তাতে একটু বিট লবণ যোগ করে পানি দিয়ে খেলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
৪. মৌরি
মৌরি হজমে সহায়তা করে এবং পেটের ফোলাভাব কমায়। ১ চা চামচ মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা পানি দিয়ে ফুটিয়ে চা বানিয়ে নিতে পারেন। চাইলে রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খেলে পেট ব্যথা ও বদহজম দূর হয়।
৫. ভাতের মাড় / খিচুড়ি
পেট দুর্বল থাকলে ভারী খাবার না খেয়ে হালকা কিছু খাওয়াই ভালো। ভাতের মাড় পেট ঠান্ডা রাখে, শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে এবং মল ঘন করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত পানিতে ভাত সেদ্ধ করে সেই পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করতে পারেন।
হালকা খিচুড়ি আর টক দইও সহজে হজম হয় এবং পেট ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
মুমু