ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

মাইগ্রেনের ব্যথাকে হার মানাতে মেনে চলুনএই পরামর্শগুলো

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

মাইগ্রেনের ব্যথাকে হার মানাতে মেনে চলুনএই পরামর্শগুলো

ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা যে কোনো সময় হতে পারে, এবং ওষুধের মাধ্যমে তা সাময়িকভাবে কমানো সম্ভব হলেও দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় না। সাধারণ মাথাব্যথার তুলনায় মাইগ্রেনে মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা, মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন মেনে চললে মাইগ্রেনের তীব্রতা ও ঘনত্ব কমানো সম্ভব।​

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলো ও শব্দের সংবেদনশীলতা থাকলে অন্ধকার ও শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। বমি বমি ভাব থাকলে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। বিশ্রামের সময় কপালে ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।​

পর্যাপ্ত ঘুম

কম ঘুম থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। রাতের ভাল ঘুমের জন্য দুপুরের ঘুম এড়িয়ে চলা উপকারী।​

ক্লান্তি নিয়ন্ত্রণ

অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা ক্লান্তি মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে। কাজের ফাঁকে কিছু সময় হাঁটলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে ক্লান্তি কমে এবং ব্যথা হ্রাস পেতে পারে।​

শরীরচর্চা

নিয়মিত শরীরচর্চা মাইগ্রেনের তীব্রতা ও ঘনত্ব কমাতে সহায়ক। শরীরচর্চার মাধ্যমে মস্তিষ্কে ব্যথার অনুভূতি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।​

সুষম আহার

মাইগ্রেনের রোগীদের খালি পেটে থাকা উচিত নয়, কারণ এতে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে। সুষম আহার গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। ডায়েট থেকে চিজ, ডার্ক চকোলেট ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।​

এই জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলো মেনে চললে মাইগ্রেনের তীব্রতা ও ঘনত্ব কমানো সম্ভব। তবে সমস্যা অব্যাহত থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শিহাব

×