ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর জলখাবার

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ২৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৫:১৯, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর জলখাবার

ছবি: প্রতীকী

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন শুধু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যই নয়, বরং স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেরই প্রতিদিনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। অনেক সময়ই হালকা ক্ষুধা মেটানোর জন্য এমন কিছু খেতে ইচ্ছে করে, যা সুস্বাদুও হবে আবার শরীরের ক্ষতিও করবে না। ঠিক এমন কিছু স্বাস্থ্যসম্মত হালকা খাবার নিয়ে এই নিবন্ধ।

নিচে এমন ৮টি স্ন্যাকসের তালিকা দেওয়া হয়েছে, যেগুলো আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা না বাড়িয়ে বরং শক্তি জোগাবে ও ক্ষুধা নিবারণে সহায়তা করবে।

 

টোস্ট এবং বাদামের মাখন (পিনাট বাটার)

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনে ভরপুর বাদামের মাখন এবং ফাইবারসমৃদ্ধ সম্পূর্ণ গমের পাউরুটির এই টোস্টের জুটি একেবারে নিখুঁত। চাইলে উপরে একটু দারুচিনি ছিটিয়ে নিতে পারেন—স্বাদে বাড়তি মাত্রা আসবে।

 

মসলা মেশানো সিদ্ধ ছোলা

এটি পুষ্টিকর ও রক্তে শর্করাবান্ধব একটি বিকল্প খাবার। সিদ্ধ ছোলায় লেবুর রস, ভাজা জিরা ও চাট মসলা মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয় এক বাটি সুস্বাদু জলখাবার, যা প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর।

 

গ্রীক দই ও চিয়া বীজ

দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান ও চিয়া বীজের ফাইবারের এই কম্বিনেশন হজমে সহায়তা করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। বেরি বা দারুচিনি দিয়ে স্বাদে আরও বৈচিত্র্য আনা যায়।

 

মিশ্র বাদাম

কাঠবাদাম, আখরোট কিংবা পেস্তাবাদামের মতো বাদাম শরীরকে দেয় প্রয়োজনীয় ফ্যাট ও প্রোটিন, সঙ্গে থাকে চমৎকার ক্রাঞ্চি স্বাদ।

 

সবজির স্টিক ও হুমাস

গাজর, শসা, বেল পেপার কেটে নিয়ে হুমাসে ডুবিয়ে খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

 

ভাজা মাখনা

মাখনা বা ফক্স নাটসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে কম এবং ক্যালোরিও কম। হালকা গরম ঘি বা অলিভ অয়েলে ভেজে নিজের পছন্দমতো মসলা ছিটিয়ে নিলেই মজাদার ও স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প জলখাবার পাওয়া যায়। 

 

সেদ্ধ ডিম

প্রোটিনে সমৃদ্ধ সেদ্ধ ডিম ক্ষুধা মেটাতে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে দারুণ কার্যকর। চাইলে স্বাদ বাড়াতে সামান্য লবণ বা চিলি ফ্লেক্স ছিটিয়ে নিতে পারেন। 

 

আপেলের টুকরো ও পিনাট বাটার

আপেলের প্রাকৃতিক ফাইবার ও পিনাট বাটারের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট একত্রে রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে অবশ্যই প্রাকৃতিক, চিনি-ছাড়া পিনাট বাটার ব্যবহার করতে হবে।

 

এই আটটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং শরীরের জন্যও উপকারী। ডায়াবেটিস, প্রিডায়াবেটিস কিংবা কেবল স্বাস্থ্যসচেতনতায় আগ্রহীদের জন্য এগুলো হতে পারে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এক দারুণ সংযোজন।


 

 

তথ্যসূত্র

টাইমস অব ইন্ডিয়া

সুরাইয়া

×