ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ছেলেদের মুসলমানি: কখন ও কার কাছে করাবেন?

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:০৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

ছেলেদের মুসলমানি: কখন ও কার কাছে করাবেন?

মুসলমানি বা খৎনা মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ছেলে শিশুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। তবে সময় নির্বাচন, নিরাপদ পদ্ধতি এবং সঠিক ব্যক্তির মাধ্যমে এটি করানো অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানি করানোর বয়স ভিন্ন ভিন্ন হলেও বাংলাদেশে সাধারণত ৪-৫ বছর বয়সে ছেলেদের খৎনা করানো হয়ে থাকে। এই বয়সে শিশু কিছুটা সচেতন থাকলেও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এবং মানসিকভাবে বিষয়টি গ্রহণ করতে পারে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানি করাতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের অনভিজ্ঞ ব্যক্তি বা হাতুড়ে দ্বারা মুসলমানি করাতে গিয়ে সংক্রমণ, অতিরিক্ত রক্তপাত, এমনকি স্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কাও দেখা দেয়।

এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন—খৎনার জন্য অবশ্যই শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ বা প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিরাপদ ও ব্যথাহীনভাবে মুসলমানি করানো যায়। অনেক হাসপাতালে বর্তমানে ‘সারকামসিজার ক্লিপ’ বা লেজার পদ্ধতিতে মুসলমানি করানো হয়, যা দ্রুত এবং কম কষ্টের।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:

  • খৎনার আগে শিশুর স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা মূল্যায়ন করুন।
  • শিশুর বয়স, ওজন এবং রক্তে কোনো সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন।
  • একটি পরিষ্কার ও স্যানিটাইজড ক্লিনিকে বা হাসপাতালে মুসলমানি করান।
  • খৎনার পরে শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছ থেকে নির্দেশনা নিন।

সবশেষে, খৎনা যেন শিশুর জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা হয়, সেটি নিশ্চিত করাই অভিভাবকদের প্রধান দায়িত্ব। শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

এসএফ 

×