
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী শরীর মূত্র তৈরি করে এবং নির্দিষ্ট সময় পর তা বাইরে বের করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু যদি বারবার প্রশ্রাব আটকে রাখা হয়, তাহলে শরীরের ভেতরে কিছু ক্ষতিকর পরিবর্তন ঘটে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে।
স্নায়ু সংকেতের ব্যাঘাত
প্রশ্রাব আটকে রাখার অভ্যাস থাকলে মূত্রথলি থেকে মস্তিষ্কে প্রস্রাবের সংকেত সঠিকভাবে পৌঁছায় না। এতে সময়মতো প্রশ্রাবের অনুভব কমে যেতে পারে।
ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি
মূত্র থলিতে দীর্ঘ সময় প্রশ্রাব জমে থাকলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা মূত্রনালির সংক্রমণ (UTI) ডেকে আনতে পারে।
মূত্রথলি ও কিডনিতে চাপ
প্রশ্রাব না করলে মূত্রথলিতে চাপ বাড়ে এবং সেই চাপ ধীরে ধীরে কিডনিতেও প্রভাব ফেলে, যা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
ব্যথা ও অস্বস্তি
প্রশ্রাব আটকে রাখলে তলপেটে চাপ ও ব্যথা অনুভূত হয়। এতে দেহ ও মন দুটোতেই অস্বস্তি সৃষ্টি হয়।
মস্তিষ্ক সাধারণত ৩০০ মিলি প্রশ্রাব মূত্রথলিতে জমা হওয়ার পর থেকেই সিগন্যাল দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিলে, ৫০০ মিলি হওয়ার পর আরও জোড়ে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু অনিয়ম চলতে থাকলে, মস্তিষ্ক এক সময় সিগন্যাল দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে শরীরে ঘটে যায়, ভয়াবহ সব ঘটনা।
তাই প্রয়োজন মতো বারবার প্রশ্রাব করুন, পানি যথেষ্ট পরিমাণে পান করুন এবং ব্যথা বা বারবার সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখুন, প্রশ্রাব আটকে রাখার অভ্যাস স্বাস্থ্যহানিকর। তাই প্রাকৃতিক চাহিদা সময়মতো পূরণ করাই ভালো।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1AQbbo6b2L/
আরশি