
ছবিঃ সংগৃহীত
দুপুরে আয়েশ করে খাবারের পর হালকা জিরিয়ে নেওয়া বা একটুখানি ঘুমিয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। একে বলা হয় ‘ভাত-ঘুম’। বিশেষ করে ছুটির দিনে এই ভাত-ঘুম হয়ে ওঠে যেন এক পরিপূর্ণ আয়েশের অংশ। কেউ বলেন, এই ঘুম একদম ঠিক আছে, আবার কেউ বলেন—খেয়ে ঘুমানো একেবারেই অনুচিত। ভাত-ঘুম নিয়ে তাই আছে নানা মুনির নানা মত।
তবে বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। নাসার বিজ্ঞানীরা ভাত-ঘুমকে খারাপ বলতে নারাজ। তাদের মতে, দুপুরে খেয়ে খানিকটা ঘুমিয়ে নিলে শুধু ক্লান্তিই দূর হয় না, বরং কাজ করার শক্তিও বেড়ে যায়। তবে শর্ত একটাই—ঘুম যেন হয় স্বল্প সময়ের, অর্থাৎ ৩০ মিনিটের মধ্যে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারী খাবার খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমালে কাজের চেয়ে অকাজই বেশি হবে। কিন্তু মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটের একটা পাওয়ার ন্যাপ মস্তিষ্ককে করে তোলে সচল, মনোযোগও বাড়ে অনেকখানি।
এ নিয়ে পাইলটদের একটি গবেষণাও রয়েছে। কাজের ফাঁকে যদি ২৬ মিনিটের ছোট্ট একটি ঘুম নেওয়া হয়, তাহলে পাইলটদের কর্মদক্ষতা প্রায় ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায় বলে জানায় গবেষণা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড বা পিসিওডি-র মতো সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য দুপুরে কিছুটা বিশ্রাম নেওয়া উপকারী হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও স্বল্প সময়ের একটি ঘুম দেহের উপকারে আসতে পারে।
তবে যাই হোক, দুপুরের ভাত-ঘুম যেন ৩০ মিনিটের বেশি না হয়—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইমরান