
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও পানির ঘাটতির কারণে অনেকেই ভুগছেন মলত্যাগে ব্যথা ও পায়খানা কষার মতো অস্বস্তিকর সমস্যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যানাল ফিসার কিংবা পাইলসের প্রাথমিক লক্ষণ। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়ে এসব সমস্যা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ইসবগুলের ভুসি:
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমানোর আগে ১-২ চামচ ইসবগুলের ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে মল নরম হয় এবং সহজে বের হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপায়।
প্রচুর পানি পান:
প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে অন্ত্র সচল থাকে এবং মল সহজে নির্গত হয়। সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করাও উপকারী।
ফাইবারযুক্ত খাবার:
গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, ব্রকলি, সীম ও টমেটোর মতো আঁশযুক্ত সবজি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। এগুলো হজমশক্তি বাড়াতে ও পায়খানাকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।
নিয়মিত হাঁটাচলা:
প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হাঁটাচলার মাধ্যমে হজমপ্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
গরম পানিতে বসে থাকা:
মলত্যাগের পর গরম পানিতে কয়েক মিনিট বসে থাকলে পায়ুপথের জ্বালা ও ব্যথা কমে। পাইলস বা ফিসারের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
সাপোজেটরি প্রয়োগ:
চরম কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপোজেটরি প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি দ্রুত কাজ করে এবং মলত্যাগ সহজ করে।
চিকিৎসা নিন জরুরি প্রয়োজনে
তিন দিনের বেশি সময় পায়খানা না হলে, মলের সঙ্গে রক্ত এলে অথবা অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলেই পায়খানা সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব।
এসএফ