ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী ৭টি কার্যকর খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২০ এপ্রিল ২০২৫

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী ৭টি কার্যকর খাবার

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু সহজ পরিবর্তন এনে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের ডায়েটে কিছু নির্দিষ্ট খাবার যুক্ত করলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন সাতটি কার্যকর খাবারের কথা, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

১. শস্যজাত খাবার
ব্রাউন রাইস, ওটস বা কোয়িনোয়ার মতো শস্যজাত খাবারে ফাইবার ও জটিল কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এগুলো হজম হতে সময় নেয় এবং ধীরে ধীরে গ্লুকোজ রক্তে প্রবেশ করে, ফলে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।

২. শাকসবজি
পালং, মেথি, কলমি শাকের মতো গাঢ় সবুজ শাকসবজি ক্যালোরিতে কম এবং মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলো রক্তে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. বেরি জাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা রাসবেরির মতো ফল ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এই ফলগুলো রক্তে গ্লুকোজের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে প্রদাহ কমায়।

৪. ডাল ও লেগিউমস
মসুর ডাল, ছোলা কিংবা মটরের মতো খাবারে প্রোটিন ও ফাইবার দুই-ই থাকে। এগুলো ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।

৫. দই
দইয়ে উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটি হজমে সহায়ক এবং প্রোবায়োটিক উপাদান রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৬. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামন, সার্ডিন বা ম্যাকেরেলের মতো মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় না, বরং ইনসুলিনের কার্যকারিতাও উন্নত করে।

৭. বাদাম ও বীজ
আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড বা ফ্ল্যাক্সসিডের মতো বাদাম ও বীজ ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এগুলো রক্তে শর্করার ওঠানামা কমায় এবং সুস্থ স্ন্যাকস হিসেবে কাজ করে।


এই খাবারগুলোকে প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে ব্যক্তিভেদে খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হয়, তাই নতুন কোনো খাদ্যপদ্ধতি গ্রহণের আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।

এসএফ

×