
ছবি: সংগৃহীত
বাচ্চাদের সঠিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। কিন্তু অনেক সময় অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা কিংবা খাদ্য সম্পর্কে ভুল ধারণার কারণে শিশুদের খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো থাকে না। এই সমস্যার সহজ ও কার্যকর সমাধান হতে পারে একটি সাধারণ খাবার—খিচুড়ি।
খিচুড়ি শুধু সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য খাবারই নয়, বরং এটি শিশুদের জন্য একটি সম্পূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার। এতে একদিকে যেমন শক্তির প্রধান উৎস চাল, অন্যদিকে থাকে প্রোটিনের উৎস ডাল। আলাদাভাবে চাল বা ডাল খেলে শিশুদের শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো সম্পূর্ণভাবে পাওয়া যায় না। কিন্তু যখন চাল ও ডাল একসঙ্গে রান্না করা হয়, তখন এই দুইটি খাদ্য উপাদানের অ্যামিনো অ্যাসিড মিলে তৈরি করে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন। অর্থাৎ, যেই প্রোটিন সাধারণত মাছ বা মাংস থেকে পাওয়া যায়, সেই প্রোটিনের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করতে পারে খিচুড়ি।
খিচুড়িতে যদি তেল, লবণ, হলুদ, আদা, এবং সবজি যোগ করা হয়, তাহলে এতে যোগ হয় প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এর ফলে শিশুর ইমিউন সিস্টেম মজবুত হয়, হজমশক্তি উন্নত হয় এবং মানসিক বিকাশেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব পরিবার প্রতিদিন মাছ-মাংস কিনতে পারেন না, তাদের জন্য খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার। এটি সস্তা, সহজপাচ্য এবং সুস্বাদু। অনেক সময় ছোট শিশুরা অন্য খাবার খেতে না চাইলেও খিচুড়ি স্বাদ করে খায়।
বাচ্চাদের জন্য খিচুড়ির উপকারিতা
- প্রোটিন ঘাটতি পূরণ করে
- সহজে হজম হয়
- শিশুর শরীর ও মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- সুস্বাদু ও রুচিসম্মত খাবার
বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিতভাবে খিচুড়ি রাখার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা সুস্থ ও শক্তিশালীভাবে বেড়ে উঠতে পারে। এতে অতিরিক্ত খরচ নেই, বরং আছে পরিপূর্ণ পুষ্টির নিশ্চয়তা।
এসএফ
তথ্যসূত্র: https://www.facebook.com/homemadefoodbyjafrin/videos/1162858512185674/?rdid=gfAFHAnpgdr8VKAW#