
ছবিঃ সংগৃহীত
বন্ধ্যাত্ব হল এমন একটি অবস্থা যেখানে দম্পতিরা নিয়মিতভাবে এক বছর ধরে সুরক্ষাবিহীন যৌন মিলন করার পরেও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে।
নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণ কারণ হিসেবে শনাক্ত করা যায়, ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, ফ্যালোপিয়ান টিউবের ব্লকেজ, এন্ডোমেট্রিওসিস, জরায়ুর গঠনগত সমস্যা ও বয়সজনিত উর্বরতা হ্রাস।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে, শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে বা গুণগত মানের সমস্যা হলে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভ্যারিকোসেল ও জীবনযাপনের অভ্যাস (যেমন ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ) এর কারণে।
বন্ধ্যাত্বের প্রতিকার ও চিকিৎসা হিসেবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা যেতে পারে। যেমন, সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া কিছু ঔষধের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। যেমন, ডিম্বস্ফোটন উদ্দীপক ঔষধ, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও অস্ত্রোপচার করে ফ্যালোপিয়ান টিউবের ব্লকেজ অপসারণ করা যেতে পারে যা এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা নামে পরিচিত। পাশাপাশি সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (ART): IUI (ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন), IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন), ICSI (ইন্ট্রাসাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন) এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
বন্ধ্যাত্ব একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনেক দম্পতির পিতৃত্বের স্বপ্ন পূরণ করতে সহায়তা করতে পারে।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/19N6JdQxMX/
আরশি