
ছবিঃ সংগৃহীত
উৎসবের সময় হোক বা উইকেন্ড পার্টি—একটু বেশিই খাওয়া হয়ে যায় আমাদের। পরিণামে পেটের ভরাট ভাব, অস্বস্তি, গ্যাস, কিংবা বদহজম। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ও হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে কিছু প্রাকৃতিক খাবার অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৭টি প্রাকৃতিক হজম সহায়ক খাবার সম্পর্কে।
১. আদা
আদা হজমে সহায়ক একটি প্রাচীন প্রাকৃতিক উপাদান। এতে থাকা জিঞ্জারল নামক যৌগ হজম এনজাইমকে সক্রিয় করে তোলে এবং পাকস্থলীতে গ্যাস ও বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। আদা চা হিসেবে খাওয়া যায় কিংবা স্মুদি বা স্যুপে ব্যবহার করলেও উপকার মেলে।
২. আনারস
সুস্বাদু আনারসে আছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা প্রোটিন হজমে সহায়তা করে। ভারী খাবারের পর কয়েক টুকরো আনারস খেলে পেটের অস্বস্তি কমে। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৩. পুদিনা
পুদিনা শুধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে না, হজমেও সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের পেশি শিথিল করে, ফলে গ্যাস ও পেটফাঁপা কমে যায়। পুদিনা চা বা কিছু পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে ভারী খাবারের পর।
৪. পেপে
ট্রপিক্যাল এই ফলটিতে রয়েছে প্যাপেইন নামক এনজাইম, যা প্রোটিনকে ভেঙে হজমে সাহায্য করে। পেপেতে থাকা আঁশও অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। খাবার শেষে পেপে খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।
৫. মৌরি দানা
মৌরি দানা বহু বছর ধরে প্রাকৃতিক হজমচক্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা যৌগ অন্ত্রের পেশি শিথিল করে এবং গ্যাস কমায়। এক চা চামচ মৌরি চিবিয়ে খাওয়া কিংবা মৌরি চা তৈরি করে পান করা যেতে পারে।
৬. অ্যাপল সিডার ভিনেগার
অ্যাপল সিডার ভিনেগার পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়ায়, যা খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়ার আগে বা পরে খেলে হজমে উপকার মেলে। তবে খালি ভিনেগার না খাওয়াই ভালো।
৭. দই
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে ও পেটের অস্বস্তি কমায়। এক বাটি টক দইয়ে সামান্য মধু বা ফল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে ভারী খাবারের পর।
এই প্রাকৃতিক খাবারগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে হজমে সহায়তা পাওয়া সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদি হজম সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
রিফাত