
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid Arthritis বা RA) একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুল করে নিজেরই জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি আক্রমণ করে। এটি জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যার ফলে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্ট ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কেন হয়?
রোগটি সঠিকভাবে কেন হয় তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়, তবে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ:
অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া: শরীর নিজের টিস্যুকে "শত্রু" হিসেবে দেখে।
জেনেটিক কারণ: পরিবারে কারো থাকলে নিজেরও হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
হরমোন: মহিলাদের মধ্যে RA বেশি দেখা যায়, ধারণা করা হয় ইস্ট্রোজেন হরমোন এতে ভূমিকা রাখে।
পরিবেশগত কারণ: ধূমপান, দূষণ, বা কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও হতে পারে।
কারা বেশি আক্রান্ত হয়?
মহিলারা পুরুষদের তুলনায় ৩ গুণ বেশি আক্রান্ত হন।
৩০-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে যেকোনো বয়সেই হতে পারে।
যাদের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস আছে।
ধূমপায়ী ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।
লক্ষণসমূহ :
জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাব (বিশেষ করে আঙুল, কবজি, হাঁটু)
সকালের দিকে জয়েন্ট শক্ত হয়ে থাকা (৩০ মিনিট বা তার বেশি)
ক্লান্তিভাব, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া
দীর্ঘমেয়াদে জয়েন্ট বিকৃতি
আধুনিক চিকিৎসা:
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের এখন সম্পূর্ণ নিরাময় নেই, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে।
🔹 চিকিৎসা:
ফিজিওথেরাপি – জয়েন্ট মুভমেন্ট ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
সার্জারি – যদি জয়েন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রোগী কী করতে পারেন (করণীয়):
নিয়মিত ওষুধ খাওয়া ও ফলোআপ
হালকা ব্যায়াম (নিয়মিত হাঁটা বা সাঁতার)
জয়েন্ট রক্ষা করার কৌশল শেখা
ধূমপান বন্ধ করা
স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা (প্রচুর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার, যেমন ওমেগা-৩, ফলমূল)
চাপ কমানো ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম
রাজু