
ছবি: প্রতীকী
ঢেঁড়স বা ভেন্ডি আমাদের সকলেরই একটি পরিচিত সবজি। ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘কে’, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলেট ( ফলিক অ্যাসিড শরীরে গিয়ে ফলেটে রূপান্তরিত হয়) এবং ফাইবারসহ ঢেঁড়সের স্বাস্থ্যগত অনেক উপকারিতা আছে।
এছাড়া ঢেঁড়স দিয়ে অনেক মজার খাবারও তৈরি করা যায় যেমন, ঢেঁড়স ভাজি, ঢেঁড়স মাসালা বা ঢেঁড়স তরকারি।
বর্তমানে নতুন ট্রেন্ড হিসেবে ত্বকের যত্নে অনেকে ঢেঁড়সর পানি পান করছে। যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
ভারতীয় ত্বক বিশেষজ্ঞ গীতিকা মিত্তাল গুপ্তা তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ঢেঁড়সের পানি পান করা নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেন। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “ওয়েলনেস রিলগুলোতে আপনারা দেখেছেন ঢেঁড়সের পানি রক্তে শর্করা, হজম, ত্বক এবং পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু আদৌ কি এটা কার্যকর?”
ঢেঁড়সের উপকারিতা নিয়ে তিনি বলেন, “ ঢেঁড়স অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন ‘এ’এবং ‘সি’ তে সমৃদ্ধ যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যায় সাহায্য করে। ঢেঁড়স সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে একপ্রকার জেল- জাতীয় পদার্থ নিঃসরণ করে যা পান করলে অনেকের ধারণা, হজম এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ ভালো থাকে। এই পানি পান করলে কোন ক্ষতি নেই কিন্তু এটি মেডিকেল চিকিৎসা বা একটি ভারসাম্য ডায়েটকে পরিবর্তন করতে পারে না।
তিনি আরও পরামর্শ দেন, ‘যেকোনো ওয়েলনেস রিল অনুসরণ করার আগে প্যাচ পরীক্ষা (দ্রব্যটি শরীরে কোন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে কি না তা দেখা) বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ করে নেবেন বিশেষ করে যারা কোন চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন।’
ইতঃপূর্বে, গীতিকা মিত্তাল গুপ্তা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কিছু স্ন্যাকজাতীয় খাবারের টিপস দিয়েছেন। এর মধ্য আছে, একটি সম্পূর্ণ পাউরুটি এবং অ্যাভোকাডো টোস্ট, গ্রিক দইয়ের সাথে বেরি এবং মধু, আখরোট এবং সূর্যমূখী ফুলের বীজ, হলুদ এবং কাঠবাদাম মিশ্রিত দুধ, ও মিষ্টি আলুর চিপস।
তিনি আরও কিছু খাবারের কথা বলেছেন যেমন, মৌসুমি ফল, অঙ্কুরিত ছোলার সালাদ, বিটরুট কাটলেট, ডার্ক চকোলেট, নারকেলের পানি ও তোকমা বীজ এবং বেরিসহ চিয়া পুডিং।
তথ্যসূত্র
বিদেশি মিডিয়া
সুরাইয়া