
ছবি: সংগৃহীত
ভিটামিন ডি সেবনের সঠিক সময়টি আপনার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি বেশিরভাগ সময় সঠিকভাবে সেবন করা হয় না। তবে, স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি সঠিক সময় এবং সঠিকভাবে এটি গ্রহণ করা হয়, তবে এর উপকারিতা আরও ভালোভাবে পাওয়া যায়। সঠিক সময়ে ভিটামিন D নিলে, এটি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের জন্য অপরিহার্য।
ভিটামিন ডি গ্রহণের সঠিক সময় বলতে কী বুঝায়?
ভিটামিন ডি হলো একটি ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিন, তাই এটি খাবারের সাথে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি খাবারের মধ্যে চর্বিসহ গ্রহণ করলে শরীরের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, খাবারের সাথে ভিটামিন ডি সেবন করলে তার উপকারিতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, কিছু গবেষণায় এমনও দেখা গেছে যে, ভিটামিন D ঘুমের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে, তাই রাতের খাবারের সময় এটি গ্রহণ উপকারী হতে পারে।
ভিটামিন ডি খাবারের সাথে নেওয়া উচিত?
হ্যাঁ, ভিটামিন ডি খাবারের সাথে গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি একটি ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিন, যা খাবারের মাধ্যমে শোষিত হয় এবং আপনার শরীর এটি আরও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে।
ভিটামিন ডি এর বিভিন্ন প্রকার
ভিটামিন ডি দুই প্রকারের হয়: ডি২ (এরগোক্যালসিফেরল): এটি মূলত চড়া তাপমাত্রায় তৈরি খাবার এবং মাশরুমে পাওয়া যায়।
ডি৩ (কোলিক্যালসিফেরল): এটি সূর্যালোকের মাধ্যমে শরীরে তৈরি হয় এবং পশু ভিত্তিক খাবারে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডি৩ ফর্মটি শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী এবং এটি ভালোভাবে শোষিত হয়।
কেন ভিটামিন ডি প্রয়োজন?
ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক ও ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। এছাড়া বৃদ্ধদের মধ্যে শক্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে ভিটামিন D সেবন করবেন?
ভিটামিন D এর সঠিক ডোজ: আপনার শরীরের অবস্থান জানিয়ে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজ গ্রহণ করুন। সাধারণত ১,০০০ IU থেকে ৫,০০০ IU পর্যন্ত পরিমাণ প্রযোজ্য। তবে, সতর্কতা হিসেবে মনে রাথা দরকার, অতিরিক্ত ভিটামিন D গ্রহণ শরীরে ক্ষতিকর হতে পারে, তাই পরিমাণ বজায় রাখা জরুরি।
ভিটামিন ডি এর উৎস
ভিটামিন ডি পাওয়া যায় পশু পণ্য, যেমন মাছে, দুধে, ডিমে, এবং কিছু শাকসবজি বা মাশরুমে।
ভিটামিন D আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সঠিক সময় ও সঠিক পরিমাণে এটি গ্রহণ করলে আপনার স্বাস্থ্য আরও ভালো হবে। তাই, এই ভিটামিনটি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন এবং পরিমিতভাবে গ্রহণ করুন।
সূত্র: প্রিভেনশ
আরশি