
ছবিঃ সংগৃহীত
অনিদ্রা এখন এক সাধারণ সমস্যা। কাজের চাপে, মানসিক উদ্বেগে কিংবা নানা শারীরিক কারণে অনেকেই নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই ওষুধ হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। অথচ খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন এনে আপনি পেতে পারেন স্বাভাবিক এবং গভীর ঘুম—একেবারে প্রাকৃতিকভাবে।
ঘুম কম হলে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা—নিষ্প্রাণ ত্বক, সারাক্ষণ মাথা ঝিমঝিম করা, চোখের নিচে কালি, কাজে মনোযোগ না থাকা, এমনকি মানসিক অবসাদ ও অস্থিরতার জন্যও অনিদ্রাকে দায়ী করা হয়। তাই এবার ঘুমের ওষুধ নয়, জেনে নিন এমন পাঁচটি খাবারের কথা, যেগুলো নিয়মিত খেলে ঘুম আসবে সহজে, আর মনও থাকবে শান্ত।
১. গরম দুধ
গরম দুধের উপকারিতা সর্বজন স্বীকৃত। দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান ও মেলাটোনিন—দুটি উপাদানই ঘুম আনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। রাতে শোবার আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করলে দেহ ও মন উভয়ই শান্ত হয়, ঘুম আসে সহজে।
২. আঁকরোড (Walnut)
আঁকরোডে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, যা শরীরে প্রবেশ করে ডিএইচএ-তে রূপান্তরিত হয়। এই উপাদান ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন মেলাটোনিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে, ফলে অনিদ্রা দূর হয়।
৩. বার্লি (Barley)
বার্লিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, জিঙ্ক, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম—যেগুলো শরীরকে করে শান্ত ও সহায়তা করে গভীর ঘুমে যেতে। বার্লি গ্যাস সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়, ফলে রাতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে না।
৪. কলা
পাকা কলা কর্মক্ষমতায় ভরপুর, তবে এর আরও একটি দিক হলো—এটি ঘুম আনতে সাহায্য করে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, ভিটামিন বি৬, কার্বোহাইড্রেট এবং পটাশিয়াম—এই সব উপাদান একসাথে কাজ করে অনিদ্রা দূর করতে।
৫. কুমড়োর বীজ
এই খাবারটি তেমন প্রচলিত না হলেও ঘুম আনার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর। এতে রয়েছে জিঙ্ক, কপার এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান, যা ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। কুমড়োর বীজ দিয়ে তৈরি নানা খাবার গভীর ঘুম আনতে সহায়তা করতে পারে।
উপসংহার
ঘুমের সমস্যা হলে প্রথমেই ওষুধের দিকে না ঝুঁকে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। প্রাকৃতিকভাবে ঘুম আনার এই উপায়গুলো দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করবে।
ইমরান