
ছবি: সংগৃহীত
ফ্যাটি লিভার এখন একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই বুঝতেই পারেন না, কখন এই রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। ফলে দেরিতে ধরা পড়ে এবং তা জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তবে ঘরে বসেই কিছু উপসর্গ দেখে প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করার উপায় জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সোরভ শেঠি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি পোস্টে ডা. শেঠি এমন পাঁচটি লক্ষণের কথা জানান, যা ঘরেই লক্ষ্য করা সম্ভব। এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১. পেটের চারপাশে চর্বি জমা
কোনো কারণ ছাড়াই কোমরের চারপাশে অতিরিক্ত মেদ জমলে সেটি হতে পারে ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে পেটে চর্বি জমতে পারে, যা লিভারের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে।
২. অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসাদ
যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি শরীরে ক্লান্তি না কাটে, তবে সেটা লিভারের কার্যকারিতায় সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। লিভার দুর্বল হলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, ফলে শরীর দুর্বল লাগে।
৩. ডান পাশের পাঁজরের নিচে ব্যথা বা অস্বস্তি
লিভার দেহের ডান পাশে অবস্থিত। তাই এই জায়গায় ব্যথা বা চাপ অনুভব করলে সেটি লিভার সংক্রান্ত কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৪. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সজনিত লক্ষণ
ডা. শেঠির মতে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ফলে ত্বকে কালচে দাগ, মুখে ব্রণ বা চুল পড়া দেখা দিতে পারে। এসব উপসর্গ সাধারণ মনে হলেও তা লিভারের সমস্যার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।
৫. বমি বমি ভাব ও ক্ষুধামান্দ্য
অনেক সময় হঠাৎ করে খেতে ইচ্ছা না করা বা অজানা কারণে বমি বমি ভাব দেখা দিলে সেটিও হতে পারে লিভারের বিপদের ইঙ্গিত।
ডা. শেঠি আরও জানান, এই লক্ষণগুলো যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা একাধিক উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থাতেই সচেতনতা ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
শিহাব