ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

আপনার অজান্তেই বাড়ছে ব্লাড সুগার, চুপিসারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্ক!

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

আপনার অজান্তেই বাড়ছে ব্লাড সুগার, চুপিসারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্ক!

সংগৃহীত

সুস্থ, ডায়াবেটিস-মুক্ত জীবনে অনেকেই ভাবেন,রক্তে সামান্য চিনি বাড়লেও তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু এক নতুন গবেষণা বলছে, বাস্তবতা হয়তো ততটা নিরীহ নয়।

‘নিউরোবায়োলজি অব এজিং’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে ডায়াবেটিস না থাকলেও যাদের রক্তে গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন (HbA1c) বা দীর্ঘমেয়াদি ব্লাড সুগার তুলনামূলক বেশি, তাদের মস্তিষ্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এই গবেষণা চালিয়েছে কানাডার বেইক্রেস্ট হেলথ সায়েন্সেস এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, যারা একটু বেশি রক্তচিনিতে ভোগেন, তাদের মস্তিষ্কের সেই অংশগুলোর কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে যেগুলো আমাদের দেহের স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া, যেমন: হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, ঘাম হওয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ১৪৬ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক। দেখা গেছে, প্রবীণদের মধ্যে এই প্রভাব আরও বেশি স্পষ্ট। অর্থাৎ বয়স বাড়লে রক্তচিনির প্রভাব আরও বেশি করে মস্তিষ্কে পড়ে। মজার বিষয় হলো নারী ও পুরুষের মধ্যে এই প্রভাবের ধরনেও কিছু পার্থক্য রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সংযোগ দুর্বল হওয়ার প্রবণতা কিছুটা বেশি দেখা গেছে, যদিও রক্তচিনি বা হৃদস্পন্দনের দিক থেকে বড় কোনো ফারাক ছিল না।

 

চিনির ওঠানামা মানেই সতর্ক সংকেত?

গবেষকরা বলছেন, এমনকি যারা এখনো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন, এমনকি যারা পুরোপুরি সুস্থ তাদের মাঝেও যদি রক্তে চিনির মাত্রা একটু বেশি থাকে, তবে সেটি মস্তিষ্কের কার্যক্রমে মৃদু পরিবর্তন আনতে পারে। আর এই পরিবর্তন শুরুতেই ধরা না পড়লেও বয়সের সঙ্গে সেটি বাড়তে পারে।

তবে মনে রাখতে হবে এই গবেষণাটি পর্যবেক্ষণমূলক। অর্থাৎ, এটি সরাসরি বলছে না যে রক্তে চিনি বাড়লেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হবে। কিন্তু প্রমাণ মিলছে দুয়ের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরের গবেষণায় দেখা যেতে পারে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখলে মস্তিষ্কের এই পরিবর্তন ঠেকানো যায় কিনা।


শুধু ডায়াবেটিস নয়, সাধারণ সুস্থ জীবনের মাঝেও রক্তচিনির মাত্রা শরীরের ভেতরকার অনেক সূক্ষ্ম ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেই প্রভাব প্রথমে দেখা না গেলেও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠতে পারে অনেক বড় ইস্যু।

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/467av56v

আফরোজা

×