
ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম—দুটি খনিজ উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো স্নায়ু, পেশি, হৃদ্যন্ত্র ও হাড়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ম্যাগনেশিয়ামের উপকারিতা: ম্যাগনেশিয়াম শরীরের শতাধিক এনজাইম ক্রিয়ায় সহায়তা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
পটাশিয়ামের উপকারিতা: পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে, পেশির কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতামত: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, “বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম গ্রহণ করেন না। ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, খিঁচুনি এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।”
চলুন জেনে নেই কোন কোন খাবারে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো বেশি থাকে:
ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার: কাজু, আমন্ড, চিয়া সিড
সবুজ পাতাযুক্ত শাক: পালং শাক, কলমি শাক
পুরো শস্য: ওটস, ব্রাউন রাইস
ডার্ক চকলেট: ভালো মানের ডার্ক চকলেট ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস
আভোকাডো ও কলা: এগুলোতে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম দুটোই পাওয়া যায়
পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার: কলা: প্রতিদিন একটি কলা শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে
মিষ্টি আলু: উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও আঁশসমৃদ্ধ
টমেটো: বিশেষ করে রান্না করা বা সস হিসেবে গ্রহণে বেশি পটাশিয়াম মেলে
ফলমূল: কমলা, খেজুর, ডালিম
দুধ ও দই: দুধ ও দই পটাশিয়ামের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস
কিভাবে খাবেন?
পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন দৈনন্দিন খাবারে কমপক্ষে ৩-৪ ধরনের ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করতে। প্রতিদিনের রান্নায় শাকসবজি, বাদাম এবং ফলমূল রাখলে সহজেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।
শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, শরীর ও মন ভালো রাখতেও এসব খনিজ উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজ থেকেই খাদ্যতালিকা পর্যালোচনা করুন আর স্বাস্থ্যকর জীবনের পথে এগিয়ে যান।
আসিফ