
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড একটি সাধারণ অথচ উপেক্ষিত স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। সঠিক সময়ে এই সমস্যার লক্ষণগুলো শনাক্ত না করলে তা দীর্ঘমেয়াদে গাঁটের ব্যথা থেকে শুরু করে কিডনি জটিলতার মতো গুরুতর রোগ ডেকে আনতে পারে।ক্লান্তি ও জয়েন্টে ব্যথাকে হালকা ভাবে নেবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করানো উচিত:
১. তীব্র ব্যথা:
হঠাৎ করে পায়ের আঙুল, গোড়ালি বা হাঁটুতে তীক্ষ্ণ ব্যথা হতে পারে – যা গাউটের ইঙ্গিত হতে পারে।
২. ফোলা (সোয়েলিং):
আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়, চলাফেরা করতে কষ্ট হয়।
৩. প্রদাহ (ইনফ্ল্যামেশন):
হাড়ের সংযোগস্থলে বা জয়েন্টে প্রদাহ দেখা দেয়, যা স্পর্শে গরম অনুভূত হয়।
৪. লালচে ভাব (রেডনেস):
ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, ব্যথার পাশাপাশি চুলকানি বা জ্বালাপোড়াও হতে পারে।
৫. গোড়ালিতে ব্যথা (অ্যাংকল পেইন):
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে বিশেষ করে গোড়ালিতে ব্যথা ও ভারী অনুভূতি হয়।
যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে গাউট, কিডনি সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে আশার কথা হলো, সময়মতো সতর্ক হলে এই সমস্যার সমাধানও সম্ভব। চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তনে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সমাধান ও প্রতিকার:
১. জড়তা দূর করতে গরম পানির সেঁক ও হালকা ব্যায়াম
২. চলাফেরায় স্বস্তি আনতে নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ফিজিওথেরাপি
৩. গতি ফিরিয়ে আনতে সকালে স্ট্রেচিং ও হালকা হাঁটা
৪. অস্বস্তি কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি পান
৫. ক্লান্তি দূর করতে পুষ্টিকর খাবার, ঘুম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডকে হালকাভাবে না নিয়ে শুরু থেকেই সচেতন থাকা উচিত। বিশেষ করে যাদের পরিবারে এ ধরণের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের আরও বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
মেহেদী হাসান