
ছবি: প্রতীকী
বার্ধক্যে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। সুন্দর এই পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানুষই দীর্ঘায়ু পেতে চান। তবে বয়স থাওয়ানো না গেলেও বয়সের ছাপ পড়া ধীর করা সম্ভব। এটি প্রমাণ করল সাম্প্রতিক এক গবেষণা।
ইউরোপের বিখ্যাত এক গবেষণা প্রকল্প সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ২ হাজার ১৫৭ জন বয়স্ক মানুষকে নিয়ে এক গবেষণা করে। অংশগ্রহণকারীদের ৩ বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। আর এই গবেষণা থেকেই সুস্থ বার্ধক্যের জন্য প্রতিদিনের খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডস তালিকাভুক্ত করার গুরুত্ব নতুনভাবে সামনে এসেছে।
সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল জুরিখের পরিচালনায় গবেষণাটি করা হয়। এখানে দেখা হয় ৩টি বিষয়- ভিটামিন ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডস এবং ব্যায়াম ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং বয়সজনিত পরিবর্তনের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে।
গবেষণার ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডস গ্রহণ করেছেন, তাদের জৈবিক বার্ধক্য প্রতিবছর এক মাস করে ধীর হয়েছে।
গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে চারটি এপিজেনেটিক ক্লক, যেগুলো বয়সের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন মাপার একটি আধুনিক যন্ত্র। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, যারা শুধু ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসই নয়, সঙ্গে ভিটামিন ডি এবং ব্যায়ামকে জীবনযাত্রায়ার অংশ করেছেন, তাদের জৈবিক বার্ধক্য আরও ধীর হয়েছে। এমনকি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডস গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি ১০ শতাংশ, সংক্রমণের ঝুঁকি ১৩ শতাংশ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমেছে ৬১ শতাংশ পর্যন্ত।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সমৃদ্ধ উৎস
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে প্রচলিত উৎস হচ্ছে স্যামন মাছ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টাকি, পাবদা, পাঙ্গাস, রুই, কাতলা ও সরপুঁটির মতো দেশীয় মাছেও আছে ওমেগা-৩। এছাড়া চিয়া বীজ, তিসির বীজ, তিসির তেল ও বাদামেও পাওয়া যায় এই উপাদান।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=XebWzkz1viQ
রাকিব