
ছবি: সংগৃহীত
হৃদরোগ প্রধানত চারটি কারণে হয়ে থাকে। এগুলো হলো:
১. ধুমপান:
আমাদের দেশে ধুমপানের হার খুব বেশি। পৃথিবীতে অন্যতম ধুমপায়ী দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৩০-৪০% লোক সিগারেট বা বিভিন্ন উপায়ে ধুমপান করে।
তরুণ প্রজন্মের এই প্রবণতা বেশি। দেখা যায় ২৫-৩০ বছর বয়সের যুবকদেরও হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অন্যান্য জটিলতায় ভুগছেন। এর অন্যতম কারণ হলো ধুমপান।
উন্নত দেশগুলোতে ধুমপানের হার কমে যাচ্ছে। আমেরিকাতে ৬০ এর দশকে প্রায় ৬০% লোক ধুমপান করত, যা এখন মাত্র ১৩%। তারা বিভিন্নরকম নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ধীরেধীরে এটি কমিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে এমন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ এখনো গ্রহণ করা হয়নি। কিছুটা কমলেও এখনো ধুমপায়ী রং সংখাটি বিশাল।
২. উচ্চরক্তচাপ:
আমাদের দেশে, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় অনেকে জানেন না যে তাদের উচ্চরক্তচাপ। এ কারণেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। সচেতনতার অভাবে এমন হয়।
তাছাড়া উচ্চরক্তচাপ ধরা পড়লেও অনেকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া বা ওষুধ খায় না। হার্ট অ্যাটাকের পর তারা সচেতন হয়, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। হার্ট অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।
৩. কোলেস্টেরল:
৮০% কোলেস্টেরল আমাদের লিভার নিজে তৈরি করে। এর উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। ২০% আসে খাবার থেকে। এটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে কি না তা জানা দরকার, পরিবারের কারো হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে বাড়তি সতর্ক হওয়া দরকার। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার।
খাদ্যাভ্যাসেও নিয়ন্ত্রণ আনা। মাখন, ঘি, মগজ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলা। কালেভদ্রে খাওয়া যেতে পারে।
৪. ডায়াবেটিস:
ডায়াবেটিস আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে হার্টের জটিলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ থেকে বাঁচার উপায় হলো রুটিন মাফিক জীবনযাপন ও ওষুধ সেবন। ডায়াবেটিস মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকা।
মায়মুনা