
ছবি: সংগৃহীত
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কোলেস্টেরল থাকা ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণার প্রধান তথ্য
American Heart Association (AHA)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, LDL (Low-Density Lipoprotein) বা "খারাপ কোলেস্টেরল" ১৩০ mg/dL-এর বেশি হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫০% বাড়তে পারে।
Harvard Medical School-এর গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীর ভেতরে প্লাক (plaque) জমার কারণে ইস্কেমিক স্ট্রোক হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রতি বছর ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০% ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টেরল মূল কারণ।
কেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে?
ধমনী সংকুচিত হয়: কোলেস্টেরল জমে রক্তনালী সরু করে, ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।
রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে: উচ্চ কোলেস্টেরল থ্রম্বোসিস (Thrombosis) সৃষ্টি করতে পারে, যা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।
রক্তনালী ফেটে যেতে পারে: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনী দুর্বল করে এবং হেমোরেজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কীভাবে ঝুঁকি কমানো সম্ভব?
স্বাস্থ্যকর খাবার খান – শাকসবজি, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ এবং আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন – ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন – প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক পরিশ্রম করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন – অতিরিক্ত ওজন উচ্চ কোলেস্টেরলের অন্যতম কারণ।
ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন – এগুলো রক্তনালীতে সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
✔ নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন – বছরে অন্তত একবার ব্লাড টেস্ট করান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
কানন