
ছবি: সংগৃহীত
শৈশবে বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে সন্তানের স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা শৈশবে পারিবারিক বিচ্ছেদের সাক্ষী হয়েছেন, বার্ধক্যে তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ দেখেছেন— এমন প্রতি ৯ জনের ১ জন বার্ধক্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। অন্যদিকে, যাদের বাবা-মা একসঙ্গে ছিলেন, তাদের মধ্যে প্রতি ১৫ জনের ১ জন এ সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, পারিবারিক বিচ্ছেদের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৬১% বেশি।
গবেষকরা স্ট্রোকের প্রচলিত ঝুঁকিগুলো যেমন—জীবনযাত্রার ধরন, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অন্যান্য কারণ বিবেচনায় নিয়েও একই চিত্র পেয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ, যা শৈশবে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের ফলে তৈরি হয়। এমন চাপ মস্তিষ্কের বিকাশ এবং পরবর্তী জীবনে মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, পারিবারিক বিচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট সামাজিক ও আবেগগত অস্থিরতা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে। এটি হৃদরোগসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। এমনকি আর্থিক অস্থিরতার কারণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ কমে যেতে পারে, যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
তবে গবেষকরা মনে করেন, বিবাহবিচ্ছেদ এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য অতিরিক্ত গবেষণা প্রয়োজন। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অন্যান্য কারণও এই ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাই ভবিষ্যতে আরও গবেষণার মাধ্যমে এই সম্পর্কের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: https://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371%2Fjournal.pone.0316580
এম.কে.