
ছবি: সংগৃহীত
আজকের দ্রুতগতির প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় স্ট্রেস যেন এক দৈনন্দিন সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যার মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম। স্ট্রেসের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি, মৃত্যু হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সম্প্রতি, গবেষকরা এমন একটি উপায় আবিষ্কার করেছেন, যা পুরুষদের ক্ষেত্রে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পুরুষরা যদি তাদের স্ত্রীর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেন, ইতিবাচকভাবে কথা বলেন এবং একে অপরের সঙ্গে সময় কাটান, তাহলে স্ট্রেস কমে যায় এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ধরনের ইতিবাচক যোগাযোগ পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে, স্ত্রীর সাথে সময় কাটানো, একে অপরকে বোঝানো এবং সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ফলে পুরুষদের মানসিক চাপ কমে যায়, যা সরাসরি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত।
তবে, স্ত্রীর সঙ্গে অতিরিক্ত নেতিবাচক কথা বা ঝগড়া করার ক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা স্ত্রীর সাথে বারবার ঝগড়া করেন বা নেতিবাচক কথাবার্তা বলেন, তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেছেন যে, এমন সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপ অত্যধিক বেড়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত শারীরিকভাবে হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে।
গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, পুরুষদের উচিত স্ত্রীর সাথে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা এবং সমঝোতা বজায় রাখা। এটি শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও অত্যন্ত কার্যকরী।
পরিশেষে, এটি প্রমাণিত যে, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর মাধ্যমে সম্পর্ক আরও গভীর হয়, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। তাই, স্ত্রীর সাথে হাসিমুখে সময় কাটানো এবং নেতিবাচক কথাবার্তা ও ঝগড়া এড়িয়ে চলা পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ফারুক