
ছবি: সংগৃহীত
লিভার শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যেটি খাদ্য হজম, বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণ, পুষ্টি সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। লিভার সুস্থ রাখার জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। নিচে লিভার সুস্থ রাখার জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেওয়া হলো:
১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা
লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর প্রোটিন যেমন মাছ, মুরগি, ডাল ইত্যাদি খাওয়া লিভারকে শক্তিশালী রাখে। স্বাস্থ্যকর চর্বি (যেমন, অলিভ অয়েল, আ্যাভোকাডো) লিভারের জন্য ভালো। এছাড়া, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে খাওয়া উচিত, কারণ এগুলি লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
২. অতিরিক্ত অ্যালকোহল পরিহার করা
অ্যালকোহল লিভারে টক্সিক পদার্থ জমা করতে পারে, যা লিভারের নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন আলকোহলিক হেপাটাইটিস বা ফ্যাটি লিভার। অতএব, অ্যালকোহল সেবন সীমিত করুন বা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিড জমা করার কারণ হতে পারে, যা ফ্যাটি লিভারের কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক কসরতের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
৪. নিরাপদ ওষুধ ব্যবহার করা
অবাধে ওষুধ গ্রহণ বা শক্তিশালী ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি কোনো ধরনের ওষুধ নিয়মিত নিতে হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা ব্যবহার করুন এবং অপ্রয়োজনে কোনো ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৫. প্রতিরোধমূলক টিকা নেওয়া
কিছু রোগ যেমন হেপাটাইটিস (হেপাটাইটিস বি ও সি) লিভারের জন্য মারাত্মক হতে পারে। সেগুলি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। হেপাটাইটিস বি-এর জন্য টিকা গ্রহণ করলে, লিভার সংক্রমণ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়।
এছাড়া, ধূমপান থেকে বিরত থাকা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। লিভারের সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক