
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান ব্যস্ত জীবনে ব্যাক পেইন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ভুল ভঙ্গিতে বসা কিংবা অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকেই পিঠের ব্যথায় ভোগেন। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে সহজেই এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই কয়েকটি কার্যকর ঘরোয়া সমাধান।
১. গরম এবং ঠান্ডা সেঁক
ব্যাক পেইন উপশমের জন্য গরম এবং ঠান্ডা সেঁক অত্যন্ত কার্যকরী। ব্যথার স্থানে ১৫-২০ মিনিট গরম পানির ব্যাগ বা হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা কমে যায়। তেমনি, বরফের প্যাক ব্যবহার করলে প্রদাহ কমে এবং ব্যথা লাঘব হয়।
২. আদার রস
আদায়ে রয়েছে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান, যা ব্যাক পেইন কমাতে সাহায্য করে। এক চামচ আদার রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে ব্যথা লাঘব হয়। এছাড়া আদার টুকরো গরম পানিতে ফুটিয়ে চা বানিয়ে পান করলেও উপকার পাওয়া যায়।
৩. হলুদ দুধ
হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহ কমায় ও ব্যথা প্রশমিত করে। এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে ব্যাক পেইন কমতে পারে।
৪. তেল মালিশ
সরিষার তেল, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে রসুন ফ্রাই করে ব্যথার স্থানে মালিশ করলে পেশির টান কমে ও ব্যথা লাঘব হয়।
৫. ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং
ব্যাক পেইন কমানোর জন্য কিছু হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং খুবই উপকারী। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিটের জন্য কোমর ও পিঠের হালকা ব্যায়াম করলে পেশি শক্তিশালী হয় এবং ব্যথা কমে।
৬. পর্যাপ্ত বিশ্রাম
যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া ব্যাক পেইন দূর করতে সহায়ক। সঠিকভাবে ঘুমানো এবং নরম কিন্তু দৃঢ় বিছানায় শোয়া ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন ব্যাক পেইনের একটি বড় কারণ হতে পারে। সঠিক ডায়েট মেনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে পিঠের উপর চাপ কমে এবং ব্যথা কম হয়।
৮. পর্যাপ্ত জল পান
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকলে ডিস্কগুলো ভালোভাবে হাইড্রেটেড থাকে এবং ব্যাক পেইনের সম্ভাবনা কমে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
আসিফ