
ছবি: সংগৃহীত
ব্রণ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা, যা নানা বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। কেন ব্রণ হয়, কীভাবে প্রতিকার করা যায় এবং সহজ উপায়ে এর চিকিৎসা কী হতে পারে—এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ মুরাদ হোসেন।
ডাঃ মুরাদ হোসেন বলেন, ব্রণ সাধারণত ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি (তৈল গ্রন্থি) অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করলে, (হেয়ার ফলিকল) বন্ধ হয়ে গেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে হয়ে থাকে। এছাড়া, হরমোনের পরিবর্তন, অপরিষ্কার ত্বক, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরনও ব্রণের অন্যতম কারণ হতে পারে।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার, ধুলাবালি এবং ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়ার ফলে ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে।
ব্রণ প্রতিরোধের উপায়:
ব্রণ প্রতিরোধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন ডাঃ মুরাদ হোসেন।
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখা: দিনে ২-৩ বার গরম পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে।
ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইডযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: শরীরের টক্সিন দূর করতে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
সুষম খাদ্য গ্রহণ: শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।
অতিরিক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলা: কমেডোজেনিক প্রসাধনী ব্যবহার না করা এবং মেকআপ ব্যবহারের পর ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করা উচিত।
চাপ কমানো: মানসিক চাপ ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই মেডিটেশন বা ব্যায়াম করা উচিত।
চিকিৎসার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়:
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার: লেবুর রস, মধু, অ্যালোভেরা এবং চন্দন গুঁড়া ব্রণ কমাতে সহায়ক।
ওষুধ সেবন: ত্বকের বিশেষজ্ঞের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক বা রেটিনয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
ক্রিম ও জেল: ব্রণের জন্য বেনজয়েল পারক্সাইড বা ক্লিন্ডামাইসিন জেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ: যদি ব্রণ গুরুতর হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করানো উচিত।
ডাঃ মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, ব্রণ একটি নিরাময়যোগ্য সমস্যা। তবে এর জন্য নিয়ম মেনে চলা এবং ধৈর্য ধরার প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও পরিচ্ছন্ন ত্বকের যত্ন ব্রণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিলা ইসলাম