
ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিস ডায়েট: কুমড়ার বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কুমড়ার বীজ ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে রক্তে শর্করার স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি না হলে হৃদরোগ, কিডনির ক্ষতি, দৃষ্টির সমস্যা এবং স্নায়ুর ক্ষতির মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন খাবার রক্তে শর্করার উপর কেমন প্রভাব ফেলে তা জানা দরকার। সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সুপারফুড যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে, তা হলো কুমড়ার বীজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এটি কীভাবে উপকার করে।
কিভাবে কুমড়ার বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে? বর্তমানে কুমড়ার বীজের জনপ্রিয়তা বেড়েছে, কারণ এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কুমড়ার বীজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা জিংক এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক। কুমড়ার বীজ ফাইবারেরও ভালো উৎস, যা হজমের গতি কমায় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এছাড়া, এটি ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তবে, শুধুমাত্র কুমড়ার বীজ খেলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হবে না। একটি স্বাস্থ্যকর, কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। এটি শুধু পুষ্টি বৃদ্ধি করবে না, বরং ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্যান্য উপকারী সুপারফুড:
* চিয়া সিড
* আখরোট
* আদা
* পালং শাক
* দারুচিনি
* অ্যাভোকাডো
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যান্য উপায়:
* নিজের শরীরের সংকেত শুনুন এবং খাবারের সময়সূচি ঠিক করুন
* পরিমিত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন
* অংশ নিয়ন্ত্রণ (পোর্টশন কন্ট্রোল) অনুসরণ করুন
* নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন
* চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
* পর্যাপ্ত পানি পান করুন
* নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করুন
* অ্যালকোহল পরিহার করুন
* মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
সংক্ষেপে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে বিভিন্ন জটিলতা প্রতিরোধ করা যায় এবং সুস্বাস্থ্য ও উন্নত জীবন নিশ্চিত হয়।
আসিফ