
ছবিঃ সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমতে থাকে, চামড়ায় ভাঁজ পড়ে, চোখের নিচে কালচে দাগ স্থায়ী হয়ে যায়, ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায় এবং ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। এসব পরিবর্তন শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ বছর পার হলেই ত্বকে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হতে শুরু করে। তবে এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর, যেমন—জেনেটিক্স, স্ট্রেস এবং জীবনযাত্রার ধরন। কারও ক্ষেত্রে বয়সের ছাপ দ্রুত দেখা দিলেও, কেউ দীর্ঘদিন ধরে টানটান ও উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখতে পারেন।
ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফাইন লাইনস ও রিঙ্কেলস, ডার্ক স্পট, রুক্ষ ও শুষ্ক টেক্সচার, অনুজ্জ্বল ত্বক এবং অসমান স্কিন টোন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে, ফলে ত্বক ঢিলে হয়ে যায় এবং বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এছাড়া, হরমোনজনিত পরিবর্তন, কম ঘুম, অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ ত্বকের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, দূষণ ও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দ্রুত বার্ধক্য ডেকে আনে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা জরুরি। প্রচুর পানি পান, সানস্ক্রিন ব্যবহার, অ্যান্টি-এজিং ক্রিম এবং ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত যত্নই হলো মূল চাবিকাঠি।
ইমরান