
ছবি: সংগৃহীত
রমজানের পবিত্র মাসে খাদ্য গ্রহণের রীতি এবং পরিবেশবান্ধব খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যেহেতু রমজান একটি আত্ম-অনুসন্ধান, সচেতন জীবনযাপন এবং কমিউনিটির সাথে বন্ধন স্থাপনের সময়, তেমনি পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সচেতনতা তৈরি করারও সুযোগ রয়েছে। বিশেষত, ইফতার, যে খাবারটি সূর্যাস্তের পর রোজা ভঙ্গ করতে খাওয়া হয়, এটি এখন শুধু খাবার গ্রহণের একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং অনেকের জন্য পরিবেশের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটি সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস লাইফস্টাইলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের মেডিকোভার হাসপাতালের ডায়টেটিক্স বিভাগের প্রধান ডাঃ রাজেশ্বরী পান্ডা বলেছেন, যে রমজানে পরিবেশবান্ধব খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা নিজেদের বিশ্বাস ও পরিবেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারি।
রমজানে পরিবেশবান্ধব খাবারের গুরুত্ব
খাদ্য অপচয় কমানো: রমজানে অতিরিক্ত খাবার তৈরি করা হয় এবং পরে তা ফেলে দেওয়া হয়। পরিবেশবান্ধব খাদ্যাভ্যাস আমাদের সচেতনভাবে খাবার কেনার এবং সংরক্ষণের প্রস্তাব দেয়, যা ইসলামী নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
স্থানীয় ও মৌসুমি খাবার নির্বাচন: স্থানীয় এবং মৌসুমি খাবার নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবহণের কারণে উদ্ভূত কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো সম্ভব।
পরিবেশের উপর প্রভাব কমানো: এই অভ্যাসগুলো আমাদের প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পৃথিবী রেখে যেতে সাহায্য করে।
ডায়টিশিয়ানের সুপারিশ-
মিল পরিকল্পনা এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: খাবার কিনে বেশি না ফেলা এবং যথাযথ পরিমাণে রান্না করা জরুরি।
প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি গুরুত্ব: পরিবেশবান্ধব খাবারগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক, উদ্ভিজ্জ খাবারগুলো অন্যতম। এগুলো মাংসের তুলনায় কম পরিবেশগত প্রভাব ফেলে।
ডাঃ রাজেশ্বরী পান্ডা আরও বলেন, "রমজানে যখন আমরা আমাদের খাবারের প্রতি সচেতন হই, তখন আমরা শুধু নিজেদের আত্মিক উন্নতি সাধন করি না, বরং পরিবেশের জন্যও একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হই।"
এই রমজানে আমরা যদি ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তুলি, তাহলে তা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বড় সুবিধা নিয়ে আসবে।
শিহাব