
বর্তমান সময়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে, তাই হার্টের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকরা হার্টের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়নের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।
১. ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি)
ইসিজি হল একটি মৌলিক পরীক্ষা, যা হার্টের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করে। এটি হৃদস্পন্দনের অনিয়ম, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বা অন্যান্য সমস্যা নির্ণয়ে সহায়ক।
২. ইকোকার্ডিওগ্রাম
এই আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে হার্টের গঠন, ভালভের অবস্থা এবং রক্ত প্রবাহের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা হয়। এটি হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা ও সংকোচনজনিত সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
৩. ট্রেডমিল টেস্ট (টি এম টি) বা স্ট্রেস টেস্ট
এই পরীক্ষায় শরীরচর্চার সময় হার্টের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। সাধারণত হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ধারণ ও ব্লকেজ পরীক্ষা করতে এটি করা হয়।
৪. কোরোনারি এনজিওগ্রাম
এটি একটি বিশেষ রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, যা হার্টের ধমনীতে কোনো ব্লকেজ বা সংকোচন আছে কিনা তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। রক্ত প্রবাহ পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষার সময় কনট্রাস্ট ডাই ব্যবহার করা হয়।
কেন এই পরীক্ষাগুলো গুরুত্বপূর্ণ?
হার্টের যেকোনো সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারে, যা মারাত্মক জটিলতা থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। যদি আপনি বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=2Y9Y_C7xXSA
রাজু