ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

পানি কম পানের কারণে কি কিডনিতে পাথর হতে পারে?

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ১৯ মার্চ ২০২৫

পানি কম পানের কারণে কি কিডনিতে পাথর হতে পারে?

ছবি সংগৃহীত

কিডনি পাথর হচ্ছে ছোট, কঠিন মজমা যা কিডনিতে তৈরি হয় এবং এটি সাধারণত ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ফসফেট এবং ইউরিক অ্যাসিডের মতো পদার্থ দ্বারা তৈরি হয়। যখন শরীর পর্যাপ্ত পানি পায় না, তখন এসব পদার্থ সহজে পাথরে পরিণত হয়, যা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরে পানির ঘাটতি হলে মূত্রসংক্রান্ত নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। পানি কম পানের ফলে মূত্রের পরিমাণ কমে যায় এবং মূত্রের ঘনত্ব বেড়ে যায়, যা পাথরের গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। যখন শরীর পর্যাপ্ত পানি পায় না, তখন মূত্রের মাধ্যমে কিডনিতে জমে থাকা নানা পদার্থ সঠিকভাবে বের হয়ে যেতে পারে না এবং তা একত্রিত হয়ে পাথরে পরিণত হয়।

ডা. রাহাত হোসেন, কিডনি বিশেষজ্ঞ বলেন, "পানি কম পানের কারণে মূত্রের মধ্যে মিনারেলস, লবণ এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ জমে গিয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং কখনো কখনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।"

বিশেষজ্ঞরা কিডনি পাথর এড়াতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামও কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ডা. রাহাত হোসেন আরও বলেন, "কিডনি পাথর প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো পানি খাওয়া। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে কিডনি পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।"

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, পানি কম পানের কারণে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশুদেরও কিডনি পাথর হতে পারে। তাই অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, শিশুদের পর্যাপ্ত পানি পান করানো এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখা উচিত।

আশিক

×