
শিশুর প্রথম কথা বলা বাবা-মায়ের জন্য আনন্দের মুহূর্ত। তবে যদি চার বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও শিশু কথা বলতে না শেখে, তাহলে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। অনেক বাবা-মা বিষয়টিকে অবহেলা করলেও, এটি হতে পারে কোনো ভাষাগত বিলম্ব বা অন্য কোনো সমস্যার লক্ষণ।
শিশুর কথা বলতে দেরি হওয়ার কারণ:
১. শ্রবণ সমস্যা: যদি শিশু ভালোভাবে শুনতেই না পায়, তবে স্বাভাবিকভাবেই সে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না।
২. বিকাশজনিত বিলম্ব: কিছু শিশুর ভাষা ও কথা বলার দক্ষতা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু ধীরগতিতে বিকশিত হয়।
৩. অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার : অটিজম আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ ও ভাষা ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
4. স্নায়ুবিক সমস্যা: ব্রেনের কোনো সমস্যার কারণে শিশুর কথা বলার ক্ষমতা বিলম্বিত হতে পারে।
5. পর্যাপ্ত যোগাযোগের অভাব: শিশুর সঙ্গে নিয়মিত কথা না বললে বা তাকে সঠিকভাবে উৎসাহ না দিলে, তার ভাষা শেখার আগ্রহ কমতে পারে।
করণীয়:
শিশুর সঙ্গে বেশি বেশি কথা বলুন: প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
গান, ছড়া ও গল্প শুনান: এতে শিশুর শব্দভাণ্ডার বাড়বে।
অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ দিন: সামাজিক যোগাযোগ বাড়ালে শিশুর কথা বলার আগ্রহ বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন: যদি সন্দেহ হয় যে শিশুর মধ্যে কোনো সমস্যা রয়েছে, তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞ বা স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শ্রবণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন: শিশুর শ্রবণ ক্ষমতা ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি শ্রবণ পরীক্ষা করানো যেতে পারে।
প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার গতি ভিন্ন হয়। তাই ভয় না পেয়ে শিশুর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ।
সাজিদ