
বিশেষজ্ঞদের মতে কোন ধরনের ঘুমের ওষুধ খাওয়া উচিত না। বরং তারা পরামর্শ দিচ্ছেন এক ধরনের মনোবৈজ্ঞানিক থেরাপির যা মানুষকে তার চিন্তাধারা ও আচরণ পাল্টাতে সাহায্য করবে। এর ফলে অনিদ্রার সমস্যারও উপশম হবে।
এ ধরনের থেরাপি (কগনেটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি) ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনে এবং ৫০ শতাংশ মানুষ অনিদ্রা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পান বলে জানান ড. হেয়ার।
অধ্যাপক ইসপি বলছেন, এরকম থেরাপি যে ওষুধের চেয়ে বেশ কাজে দেয় সেটা অনেক রোগীই বিশ্বাস করতে চান না।
থেরাপির একটি অংশের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, স্লিপ রেস্ট্রিকশন থেরাপি নামে একটি পদ্ধতির পরামর্শ দেই আমরা। এর মাধ্যমে অনিদ্রার রোগীকে একটু দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে একটু আগে আগে ঘুম থেকে উঠতে বলা হয়।
কিছু মানুষ অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেন যে, শোয়ার আগে ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় ওষুধ খেয়ে তারা ঘুমের ক্ষেত্রে সুফল পেয়ছেন। কিন্তু ড. অর্চার্ড বলছেন, এই বিষয়টি বড় কোনো গবেষণায় প্রমাণিত নয়, বরং ছোটো আকারের কিছু জরিপে এর কথা বলা হয়েছে।
মেলাটোনিনের বিষয়টা কী?
অনেক দেশে এ ধরনের হরমোনের ওষুধ ফার্মেসিতে গেলেই পাওয়া যায়, আবার কোথাও কোথাও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেনা সম্ভব।
এ বিষয়ে ড. হেয়ার বলছেন, এই বিষয়টাও অনেকটা ম্যাগনেসিয়ামের ব্যবহার ও তার প্রভাবের মতোই। অনেক সময় হয়তো রোগী মন রক্ষায় এসব ওষুধ লিখে দেন চিকিৎসকরা।
সাজিদ