ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

রমজান মাসে বডিবিল্ডিং করে মাসল গেইন সম্ভব? ফিটনেস এক্সপার্টের বিশ্লেষণ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৭ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০৫:১৭, ১৭ মার্চ ২০২৫

রমজান মাসে বডিবিল্ডিং করে মাসল গেইন সম্ভব? ফিটনেস এক্সপার্টের বিশ্লেষণ

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে মুসলিমরা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করেন, যা শরীরের স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহণ ও পানীয়ের রুটিনে বড় পরিবর্তন আনে। এমন পরিস্থিতিতে বডিবিল্ডিং চালিয়ে গেলে আদৌ কি মাসল গেইন সম্ভব? নাকি এটি কেবলমাত্র ফ্যাট লসের জন্যই উপযোগী সময়? এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছি ফিটনেস এক্সপার্টদের সঙ্গে, যারা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন।

রমজানে বডিবিল্ডিং: চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, মাসল গেইনের জন্য তিনটি প্রধান উপাদান প্রয়োজন—
১. পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণ
২. নিয়মিত ভারোত্তোলন
৩. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধার

রমজান মাসে দিনের বড় একটি সময় উপবাস থাকায় ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়, যা মাসল বিল্ডিং প্রক্রিয়ার জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে, যদি সঠিক মাত্রায় প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ না করা হয়, তবে শরীর পর্যাপ্ত নিউট্রিয়েন্ট পায় না, ফলে মাসল গেইন করা কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন মাসল গেইন কঠিন রমজানে?

ফিটনেস কোচরা বলছেন, রমজানে মাসল গেইনের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
✅ ক্যালোরির ঘাটতি: সারাদিন না খাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পূরণ করা কঠিন হয়ে যায়।
✅ প্রোটিন ঘাটতি: মাসল গেইনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন গ্রহণ করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না।
✅ শক্তি ও স্ট্যামিনার অভাব: সারাদিন না খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে ভারী ওজন তোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
✅ ডিহাইড্রেশন: পানি না খাওয়ার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা মাসল গ্রোথের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করে।

তাহলে কি একেবারেই মাসল গেইন সম্ভব নয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর মাসল গেইন রুটিন অনুসরণ করা রমজানে সম্ভব নয়। তবে যদি কেউ ক্যালোরি, প্রোটিন ও সঠিক ওয়ার্কআউট প্ল্যান ঠিক রাখেন, তবে সামান্য পরিমাণ মাসল গেইন করা যেতে পারে। সঠিক ডায়েট, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ইফতারের পর ব্যালেন্সড ওয়ার্কআউট করলে মাসল লস রোধ করা সম্ভব। তবে যারা সিরিয়াস মাসল গেইনের লক্ষ্য নিয়ে চলছেন, তাদের জন্য রমজান মাসটি মূলত "মেইনটেন্যান্স" ফেজ হিসেবে ধরে নেওয়াই ভালো।

আসিফ

×