
ঘাড়ে ব্যথা খুব অস্বস্তিকর। কারো সাথে কথা বলা যায় না। সোজাভাবে দাঁড়ানো যায় না। কোনো কাজ সঠিকভাবে করা যায় না। ঘাড়ের ব্যথা হলে কিছু সাধারণ ব্যবস্থা রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:
বিশ্রাম নেওয়া: ঘাড়ে অতিরিক্ত চাপ বা টান না পড়ার জন্য কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। তবে, দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে বা শুয়ে থাকাও ক্ষতিকর হতে পারে, তাই মাঝেমধ্যে পজিশন পরিবর্তন করুন।
হালকা স্ট্রেচিং ও এক্সারসাইজ: অল্প কিছু ঘাড়ের স্ট্রেচিং বা এক্সারসাইজ করা যেতে পারে যা পেশি শিথিল করতে সাহায্য করবে। তবে, খুব বেশি চাপ দেয়া বা অত্যধিক স্ট্রেচ করা উচিত নয়, কারণ এটি আরো ব্যথা বাড়াতে পারে।
ঠান্ডা ও গরম সেঁক: ব্যথা কমানোর জন্য প্রথমে ঠান্ডা সেঁক (যেমন বরফ) ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষ করে যদি ব্যথা তাজা আঘাতের কারণে হয়। কয়েকদিন পর গরম সেঁক (যেমন গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে) ব্যবহার করলে পেশির শিথিলতা ও ব্যথা কমতে পারে।
অন্তত ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম করুন: যখন ব্যথা অনুভূত হয়, তখন অল্প সময়ের জন্য ঘাড় বা শরীরের অন্যান্য অংশ বিশ্রাম দিন।
পোস্টিউর ঠিক রাখা: আপনার বসা বা দাঁড়ানোর পদ্ধতিতে মনোযোগ দিন। বিশেষ করে যদি আপনি দীর্ঘসময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করেন, তবে সঠিক পজিশনে বসুন এবং ঘাড়কে সোজা রাখুন।
ওভার দ্য কাউন্টার (OTC) ঔষধ: ব্যথা কমাতে পেইন কিলার (যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন) ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, ঔষধের ব্যবহারে সতর্ক থাকুন এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
যতটুকু সম্ভব চাপ এড়ানো: ভারী কিছু তোলা, অতিরিক্ত মুভমেন্ট বা অতিরিক্ত স্ট্রেন থেকে বিরত থাকুন, যা ঘাড়ের পেশি বা জয়েন্টে আরো চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
ভরসার উপযুক্ত বালিশ ব্যবহার করা: ঘাড়ের ব্যথা কমানোর জন্য সঠিক ধরনের বালিশ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় উঁচু বা নরম বালিশ ঘাড়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাই সঠিকভাবে সমর্থন করা বালিশ ব্যবহার করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি ব্যথা বেশিদিন থাকে বা তীব্র হয়, বা যদি হাতে, পায়ে অনুভূতি হারানো বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে রেডিওলজি পরীক্ষা (যেমন এক্স-রে বা এমআরআই) প্রয়োজন হতে পারে।
মনে রাখা জরুরি যে, ঘাড়ের ব্যথার কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রণালী পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যদি ব্যথা গুরুতর হয়, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করাই উত্তম।
সজিব